১১ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ. ২৫শে মার্চ, ২০২৩ ইং

মহাসড়কের জায়গায় দখল করে সিএনজি স্ট্যান্ড

স্টাফ রিপোর্টার:

আবারও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাঁটিহাতা বিশ্বরোডের দুই পাশ দখল করে গড়ে উঠেছে গাড়ি পার্কিং আর অবৈধভাবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড। স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়নের প্রভাবশালী নেতা আরব আলী ও মালিক সমিতির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হামিদ বক্স এর নেতৃত্বে এ স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এতে মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

সড়ক বিভাগ বলছে, শিগগিরই এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। ঢাকা সিলেট মহাসড়ক এন টু,আন্তঃজেলা মহাসড়ক এন ১২ খাঁটিহাতা বিশ্বরোড় মোড় অবৈধ স্থাপনা ও সিএনজি স্ট্যান্ড এর যানযট দুর্ঘটনার কারণ। অবৈধ স্থাপনার কারণে সড়ক দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড সারাদেশের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই পয়েন্ট হয়ে যেতে হয়। প্রতিদিন কয়েকশ’ গণপরিবহণের যাত্রী উঠা নামা করে। গণপরিবহণে পাশাপাশি এখানে রয়েছে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড।

এদিকে বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু সরকারী দলীয় স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আরব আলী ও মালিক সমিতির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হামিদ বক্স প্রভাব খাটিয়ে সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছেন। বসানো হয়েছে বিভিন্ন খাবার হোটেল, ফল ও চা দোকান। এছাড়া এই পয়েন্টকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একাধিক সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড। যেখানে প্রতিদিন কয়েকশ’ অটোরিকশা যাত্রী ওঠানামা করে এবং পার্কিং করে রাখে। অপরদিকে মহাসড়কে দুইপাশ দখল করে বসছে অস্থায়ী বাজার।

জেলার সরাইল উপজেলার এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন এখানে শতশত সিএনজি দাঁড়িয়ে থাকে। এতে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই দ্রæত এসব অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা দরকার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, স্থানীয় শ্রমিক নেতা আরব আলী ও আরব বক্স তারা বিশ^রোডের মোড়ে এই স্ট্যান্ডগুলো নিয়ন্ত্রন করে। তারা খাঁটিহাতা পুলিশের কতিপয় সদস্যদের সহায়তায় অবৈধ স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। স্ট্যন্ডে রয়েছে প্রায় ৭শতাধিক গাড়ি। প্রতিটি গাড়ি থেকে নেয়া হচ্ছে ২০০০ থেকে ২৫০০টাকা করে। অবৈধ স্থাপনা দোকান থেকে ৬০-৩৫০ টাকা প্রতিদিন দোকান ভাড়া তোলা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক বলেন, সড়ক বিভাগ এর আগেও কয়েকবার উচ্ছেদ করছে। কিন্তু কিছুদিন গেলেই আবারও অবৈধ দোকানপাট বসে যায়।

খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ সুখেন্দু বসু পুলিশের সহায়তার কথা অস্বীকার করে বলেন, অচিরেই অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভোমিক জানান, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com