Advertisement

জেলায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৫৩ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ৬৮।

নিউজ ডেস্ক,

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৫৩জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত (৩৩), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাসুম বিল্লাহ (৪০), সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (৩৫), জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল (৩৫), সহ-সভাপতি মহসিন মোল্লা (৩০), সহ-সভাপতি ওবাইদুর রহমান বাবু  (৩০), সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আফরিন ফাতেমা জুই (৩০), জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিকাইল হোসেন হিমেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদি (২৬), সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন রানা (৩৫), সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সামী আহমেদ নাবিল, সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরে মওলা ফারানী (৩০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সভাপতি জুবায়ের আহমেদ খান (৩২), জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সুমন মিয়া (৪০), শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন লিটন (৩৫), শহর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন রনি-(৩৫), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রিদওয়ান আনসারী রিমো (৩৫) ও জুম্মান সরকার (৪০), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিন মিয়া (৩০) ও যুব মহিলা লীগের নেত্রী উম্মে হানি ওরফে সেতু (৩৭)। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামী করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে শহরতলীর বিরাসার মোড় থেকে জেলা শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। মিছিলটি বিরাসার চৌরাস্তায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হাতে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ইট-পাটকেল, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। সে সময় তারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর অতর্কিতভাবে ককটেল ও পটকা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে তারা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশে আঘাত করলে বেশ কয়েকজন সাধারণ জনতা ও ছাত্র আহত হয়। পরে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অনেক মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে সম্পদের ক্ষতি সাধন করে।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর বলেন, পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদানসহ সম্পদের ক্ষতি সাধণ করায় বিস্ফোরক আইনে গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের এক এসআই ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের ৫৩জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com