Advertisement

গোয়ালঘরে ঘুমিয়ে চোর পাহারায় খামারি ও কৃষকরা

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ১০৮।

নিউজ ডেস্ক,

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরু চোরের উপদ্রব বেড়েছে। প্রতিরাতেই কোনো না কোনো এলাকা থেকে গরু চুরি করছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। প্রতিনিয়ত এ চুরির ঘটনায় আতঙ্কে আছেন খামারি ও কৃষকরা। গরু পাহারা দিতে গরুর সাথেই গোয়ালঘরে ঘুমাচ্ছেন তারা।

এদিকে গরু চুরি রোধে নজরদারি বাড়ানোর কথা জানিয়েছে জেলা পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘবদ্ধ গরুচোরদের উপদ্রব বাড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক ও খামারিরা। সীমান্ত এলাকা ছাড়াও বিজয়নগর, নবীনগর, নাসিরনগরে অহরহ ঘটছে চুরির ঘটনা। কখনো রাতের আঁধারে, আবার কখনো দিনের আলোতেই এসব চুরির ঘটনা ঘটছে। প্রতিরাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। তাই পালা করে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসী।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খামারিরা বলছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর ও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ধার-দেনা করে গরু লালন-পালন করছেন তারা। এমন হলে পথে বসতে হবে তাদের।

ক্ষোভ প্রকাশ করে এক ভুক্তভোগী বলেন, খুব বিপদে আছি। গরু বাইন্ধা নিয়া যায় গা। এলাকার চেয়ামারম্যান, মেম্বার কোনো ব্যবস্থা নেয় না। চোরের ভয়ে গরুর দড়ি ধরে গোয়াল ঘরে ঘুমান লাগে।

গরু চোরের নেটওয়ার্ক সারা জেলায় বিস্তৃত উল্লেখ করে পত্তন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেছেন, এরই মধ্যে ৩২ জন গরু চোরের তালিকা পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে।

গরু চুরি রোধে নিজেদের অবস্থানের কথা জানালেন জেলার পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, গরু চুরি যারা করে এরা পেশাদার। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি ও ব্যবস্তা নিতে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া আছে।

এদিকে গত এক মাসে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৫০ টিরও বেশি গরু চুরি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com