বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়ার নির্বাচনী অফিসে গুলি বর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। দুবৃর্ত্তদের ছোড়া গুলিতে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা আহত হয়। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের অভিযোগ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছিমা লুৎফুর রহমানের ( ঘোড়া প্রতিক) সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, শুক্রবার রাতে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতরপুরে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অফিসে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকা প্রতীকের সমর্থনে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়া দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী পরামর্শ সভা করার সময় মুখোশধারী কয়েকজন যুবক মোটর সাইকেলযোগে অফিসের সামনে এসে ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে।
এক পর্যায়ে যুবকরা অফিস ভাংচুর করে এবং কয়েক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি নুরধন ভূইয়া- (৪৩) পায়ে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। নুরধন ভূইয়া ওই এলাকার নাজির উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া প্রতিক) নাছিমা লুৎফুর রহমানের সমর্থকরা কিছুদিন ধরেই আমাকে নৌকার প্রচারণা বন্ধ করতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় আমাদের সমর্থকদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার এবং আমাকে মেরে ফেলতে নাছিমা লুৎফুরের আত্মীয় এবং উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সকালে থানায় আমি অভিযোগ দাখিল করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়া বলেন, ভোটারদের আতঙ্কিত করে নৌকা মার্কাকে পরাজিত করতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছিমা লুৎফর রহমানের অনুসারীরা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরের নেতৃত্বে এই হামলা করেছে। তিনি বলেন, নাছিমা লুৎফুর রহমান এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে অস্ত্রসহ বহিরাগতদের নিয়ে প্রচারনা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছিমা লুৎফুর রহমান (ঘোড়া প্রতিক) তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের মধ্যে (আওয়ামীলীগ) গ্রুপিং আছে। তারা নিজেরা করে এর দায়ভার আমার উপর চাপাতে চাচ্ছে। সঠিক তদন্ত করলেই আসল রহস্য বের হয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার আদিত্য ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উল্লেখ্য আগামী ১৮ জুন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।