নিউজ ডেস্ক,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় জোরদারকরণে জেলা পর্যয়ের বিশ্লেষণ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টায় সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। কর্মশালায় দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোসাঃ শামসুন্নাহার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম।
গ্রুপ পর্যায়ে আলোচনা করে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয় বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক বিশাল চক্রবর্তী, আশুগঞ্জ-কুমিল্লা ছয় লেন মহাসড়ক প্রকল্পের ডেপুটি ম্যানেজার শামীম আহমেদ।
এ সময় জানানো হয়, একটি উন্নয়ন কাজ করতে গেলে একাধিক দপ্তরের সংশ্লিষ্টতা থাকে। কিন্তু সাধারনত যে দপ্তর কাজটি করে এর বাইরে কাউকে এতে সম্পৃক্ত করতে দেখা যায়না। এক দপ্তরের কর্মকর্তা আরেক দপ্তরের কাছে যেতে কুণ্ঠাবোধ করেন। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই গোঁজামিল দেওয়া হয়। সময়ের কাজ সময়ে করা হয় না। ঠিক মতো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়না। আগের কাজ পরে পরের কাজ আগে করা হয়। এমন সব সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত ঘটে। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আরো গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কোনো একটি কাজের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা যারা সবগুলো দপ্তরের সমন্বয় করে কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহার বলেন, ‘দপ্তর গুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত ঘটার অনেক উদাহরণ আছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে কাজ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যে মতামত গুলো উঠে আসবে সেগুলো গবেষণায় কাজে লাগানো হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ওয়ান বাই ওয়ান কথা বলেও কাজের সমন্বয় করা যায়। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা তো ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখেও ব্যবস্থা নেই। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এমন একটা গবেষণা চাই যেটা সারা দেশে কাজে লাগবে।
কর্মশালায় সরকারি বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধি সহ ৪২জন অংশ নেন।