Advertisement

সরাইলে মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে দিলেন মা

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ১০৭৬।

এনবি নিউজঃ
সরাইলে গিয়াস উদ্দিন-(২৬) নামে মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে দিলেন মা ফরিদা বেগম। গিয়াস সরাইল সদর ইউনিয়নের মোঘলটুলা গ্রামের প্রবাসী আবদুল হোসেনের ছেলে।

মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাতে গিয়াস উদ্দিনকে মাদকসহ আটক করে পুলিশ।  বুধবার ভ্রাম্যমান আদালতে গিয়াসকে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। পুলিশের গাড়িতে উঠার সময় গিয়াস হাজত থেকে ফিরে বাবা মা’কে হত্যার হুমকি দেয়।

পুলিশ,পরিবার ও অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, মোঘলটুলা গ্রামের প্রবাসী আবদুল হোসেনের ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে গিয়াস তৃতীয়। গত ১০-১১ বছর আগে বিয়ে করে গিয়াস। তার রয়েছে ৮ বছর বয়সের একটি ছেলে। ৫-৬ বছর আগ থেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে গিয়াস। গাজাঁ, হেরোইনসহ নানা ধরনের মাদক সেবন তার প্রাত্যহিক নিয়মে পরিণত হয়ে যায়। মা, ভাই, বোন, স্ত্রী, সন্তান কাউকে তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া জীবন যাপন শুরু করে গিয়াস। মাদক ছাড়া কিছুই চিন্তা করতে পারে না। মাদকের টাকার জন্য পরিবারের লোকজনের উপর অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা দিনদিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক সময় ঘরের সকল আসবাপত্র বিক্রি করে ফেলে। কেউ বাঁধা দিলে তার উপর চালায় শাররীক নির্যাতন। সকল ফার্নিচার শেষ করে খাঁট গুলোও বিক্রি করে দিয়েছে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে টাকার জন্য নিয়মিত মা বাবাকে মারধর করে আসছে। মাদকাসক্ত গিয়াস উদ্দিনের তান্ডবে ২ বছর আগে চলে গেছে তার স্ত্রী। গত ৪-৫ দিন ধরে মা বাবার উপর মাদকের টাকার জন্য আবারও অত্যাচার করছে। নিরুপায় হয়ে মা ফরিদা বেগম ছেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরাইল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

মঙ্গলরাতে এস আই আলাউদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে বসতঘর থেকে গ্রেপ্তার করেন গিয়াসকে। গ্রেপ্তারের পর তার পকেট থেকে গাজাঁ ও দুইটি ধারালো ছোঁড়া ও উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমান আদালতে মাদক সেবন, ধারালো অস্ত্র বহনের দায় স্বীকার করায় তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও দন্ডবিধির ১০৬০ এর ১৪৮ ধারায় ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সরাইল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াঙ্কা। জেলহাজতে নেয়ার উদ্যেশ্যে গাড়িতে ওঠার সময় গিয়াস চিৎকার করে বলতে থাকে, “ওরা মিথ্যা স্বাক্ষী দিয়েছে। ফিরে এসে বাবা মাকে শেষ করে ফেলব।” গিয়াসের বাবা আবদুল হোসেন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ১৪ বছরের কামাই শেষ। ঘরে কিছু নেই। আমাকে সে ভিক্ষুক বানিয়েছে। আমার কোন উপায় নেই। মা ফরিদা বেগম বলেন, গর্ভধারিণি মা তার নিজের ছেলেকে কখন জেলে দিতে বাধ্য হয় ভাবুন। তার যন্ত্রণায় আমার সংসারের সুখ শান্তি ধ্বংস হয়ে গেছে। মাদকের টাকার জন্য আমার গায়ে হাত তুলে। বাবার গায়েও হাত তুলতে দ্বিধাবোধ করছে না। আল্লাহ যেন কারো সন্তানকে মাদকাসক্ত না বানায়।

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com