নিউজ ডেস্ক,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাদশা মিয়া (১৭) নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামে এ খুনের ঘটনা ঘটে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। নিহত বাদশা ওই গ্রামের আবু কালাম মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দু’জনকে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা ও ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর ২১জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের বোন পপী আক্তার বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় এ পর্যন্ত রাসেল মিয়া (৩২), ইউনুস মিয়া (৩৫), শাকিল আহমেদ (১৯) ও মাসুদ মিয়া (২০) নামে এজহার নামীয় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সম্প্রতি বাড্ডা গ্রামে বাদশার প্রতিবেশী মিয়াদের বাড়িতে ঢাকা থেকে এক কিশোরী বেড়াতে আসে। শনিবার মেয়েটি গ্রামের বাজারে যাওয়ার পথে পাড়ার অনিকের নেতৃত্বে কয়েকজন বখাটে মেয়েটিকে উত্যক্ত করে। এ সময় বাদশা বিষয়টির প্রতিবাদ করায় ইভটিজারদের সাথে তার ঝগড়া হয়। এর জের ধরে অনিক তার সহযোগীদের নিয়ে রাতে বাদশাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে বাড়ির পাশে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা উপর্যপুরি কুপিয়ে তাকে মারাত্মক ভাবে আহত করে। এসময় বাদশাকে বাঁচাতে এসে তারেক, মাইনুদ্দিন, সাইফুল ও জিহাদ গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে মুমুর্ষু অবস্থায় বাদশা, সাইফুল ও জিহাদকে ঢাকায় নেয়ার পথে বাদশা মারা যায়।
মামলার বাদী পপি আক্তার জানান, আমাদের তিন বোনের মাঝে একমাত্র ভাই বাদশা। ভাই বিদেশ যাওয়ার কথা ছিলো কয়েক মাসের ভিতরে। আমার ভাই মেয়ের ঘটনার সাথে জড়িত না। তারা আমার ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম বলেন, একটি মেয়েকে উত্যক্ত করার জের ধরেই বাদশাকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অনিককে প্রধান করে ২১ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মূল আসামী অনিকসহ বাকীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। নিহতের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।