নিউজ ডেস্ক,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার ১০ দিন পর মহসিন মিয়া-(২৪) নামে এক অটোচালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মহসিন মিয়া উপজেলার কুটি ইউনিয়নের রানিয়ার গ্রামের আয়েত আলীর ছেলে।
হত্যাকান্ডে জড়িত পাশ্ববর্তী গ্রামের মন মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়াকে চট্টগ্রাম থেকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্য মতে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আয়েত আলী বাদি হয়ে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, মহসিন মিয়া একজন অটোচালক। সে কিছুদিন আগে একটি মোবাইল পাশের গ্রামের মন মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়ার কাছে বিক্রি করে। মোবাইল বিক্রির পর তার ব্যবহৃত নাম্বারগুলো সংরক্ষনের জন্য ফের মোবাইলটি ফেরত আনে। মোবাইলটি ফেরত দেয়া নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে মহসিন ভাত খাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার সময় রাসেল মিয়া তাকে ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই নিখোঁজ হয় মহসিন মিয়া। পরদিন থেকে রাসেল মিয়াও এলাকা ছেড়ে চলে যায়। মহসিন মিয়াকে পরিবারের লোকজন কোথাও খুঁজে না পেয়ে ১৮ ডিসেম্বরর রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে কসবা থানায় জিডি করে নিহতের পিতা আয়াত আলী। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় রাসেল মিয়াকে গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে কসবা থানা পুলিশের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাসেল মিয়া পুলিশের কাছে স্বীকার করে মহসিনকে সে এবং রিপন মিয়া মিলে হত্যা করে শান্তিপুর গ্রামের ছোবহান মিয়ার পরিত্যাক্ত বাড়িতে ফেলে রেখেছে। তার স্বীকারোক্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহসিনের অর্ধগলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।