স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা করে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক নিষিদ্ধের ঘোষনা বাতিলসহ আট দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন।
রবিবার দুপুরে সদর উপজেলা রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
দাবিগুলো হচ্ছে অবিলম্বে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক নিষিদ্ধের ঘোষনা বাতিল করা, বুয়েটের প্রস্তাবিত রিকশা বডি, উন্নত গতি নিয়ন্ত্রক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদান করা, চালকদের প্রশিক্ষণ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ প্রদান, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চালকসহ সকল শ্রমজীবি শ্রেনীর মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, যানজট নিরসনে জেলা শহরের মেড্ডা থেকে ভাদুঘর পর্যন্ত তিতাস নদীর পাড় দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মান, শহরের মৌলভীপাড়া থেকে পুনিয়াউট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করা, প্রত্যেক জনবহুল এলাকায় রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইকের জন্য স্ট্যান্ড নির্মানর, পৌর এলাকা ও পৌর এলাকা সংলগ্ন রিকশা ও রিকাশা চালকের লাইসেন্স এবং ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চালানোর অধিকার দেয়া।
ব্রাহ্মনবাড়িয়ার সদর উপজেলা রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক নূরুল আলম ও সদস্য সচিব সাহেদ মিয়া বলেন, রোববার দুপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক নিষিদ্ধের ঘোষণা বাতিলের দাবিতে শহর থেকে একটি মিছিল নিয়ে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটে এলাকায় গেলে পুলিশ মিছিলে বাঁধা দেন। এ সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে ব্যানার নিয়ে যায়। পুলিশের সাথে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।
পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে দুই-তিনজন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁনের কাছে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।
সদর উপজেলা রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানান, করোনার কারণে দেশের সকল শ্রেনীর মানুষ বিপদজনক সময় পার করছেন। প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। দেশের প্রায় দেড় কোটি মানুষ করোনার কারনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়তই আয়ের পথ সংকুচিত হচ্ছে এবং ব্যয়ের পথ প্রশস্ত হচ্ছে। এই দুঃসময়ে দেশের সবচেয়ে বড় স্বনিয়োজিত শ্রমজীবী সেক্টর ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের কর্মহীন করার মতো গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে নতুন করে বেকার হবে আরো কোটি মানুষ। এই পরিবহনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা। ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক একটি শতভাগ পরিবেশ বান্ধব পরিবহন। সরকারে উচিত এ পরিবহনকে আরও উন্নত ও সুশৃঙ্খল করা। কিন্তু তা না করে সরকার এই পরিবহনকে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । তাই সদর উপজেলা রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আট দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় জনসমাগম করে তাদের মিছিল করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে কোনো ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেনি।