স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক মো. শাহাদাৎ হোসেন অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন। শাহাদাৎ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হামলকারি রোম্মান মিয়া পৌর এলাকার কাজী পাড়ার রউফ মিয়ার ছেলে। তিনি ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি সৈনিক লীগের আহবায়ক জুম্মানের ছোট ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন চালুর দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় স্টেশন চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করে সচেতন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। তবে মানববন্ধনের মূল উদ্যোক্তা ছাত্রলীগ। মানববন্ধন কাভার করার জন্য অন্যান্যদের সঙ্গে সাংবাদিক শাহাদাৎও স্টেশন চত্বরে যান। মানববন্ধন শেষের দিকে সাংবাদিক শাহাদৎ জানতে পারেন ছাত্রলীগের এককর্মী জনৈক রেল কর্মচারিকে মারধর করেছে।
সাংবাদিক শাহাদাৎ বিষয়টি ঘটনাস্থলে উপস্থিত যুবলীগ নেতাকে অবহিত করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন ছাত্রলীগ কর্মী রোম্মান। এক পর্যায়ে শাহাদাৎকে মারধর করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
শাহাদতের লাঞ্ছিতের ঘটনায় জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, আশুগঞ্জ উপজেলা আলীগের সভাপতি হাজী মো.সফিউল্লাহ, বিজয়নগর উপজেলা আলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঞা, সদর উপজেলা আলীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, সাধারন সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন শোভনসহ নেতৃবৃন্দ প্রেস ক্লাবে এসে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান হাসপাতালে এসে শাহাদাৎকে দেখে যাওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
আক্রান্ত সাংবাদিক শাহাদাৎ জানান, স্টেশনের গেইট কিপার মুরাদুল ইসলামকে রোম্মান মারধর করেছে জানতে পেরে বিষয়টি যুবলীগ নেতা হাসান সারোয়ারকে জানানোয় রোম্মান চড়াও হয়। এ ঘটনায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।