স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনাভাইরাসের সংক্রমনের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া ৩৩২জন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার পাঁচশত মানুষ এবং ৫৮জন ক্রীড়ামোদীর মধ্যে মোট ১১লাখ ২৭ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বে-সামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী তাদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন।
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ দৌলা খানের সভাপতিত্বে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) এবিএম মশিউজ্জামান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলমসহ সদর উপজেলা প্রশাসন ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কর্মহীন মানুষের জন্য কাজ করছে। কর্মহীন মানুষ যাতে কষ্ট না করেন সেজন্য প্রধানমন্ত্রী বিভিন্নভাবে সহায়তা করছেন। প্রধানমন্ত্রী অসহায় ও কর্মহীন মানুষের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মোকতাদির চৌধুরী এমপি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবরোধে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক নিরাপত্তা মেনে চলার আহবান জানান।
মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, দু’দিন পরেই ঈদ-উল আযহা। দু’দিন পরেই শুরু হবে বাঙ্গালী জাতির শোকের মাস আগষ্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারকে হত্যা করা হয়। তিনি ১৫ আগষ্টে জাতির পিতাসহ যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করে বলেন, আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যও দোয়া করবেন, যাতে তিনি দেশকে আরো সেবা করতে পারেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান জানান, সদর উপজেলার কিন্ডারগার্টেনের ৩৩২ জন শিক্ষককে ১হাজার টাকা করে ও বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার ১৭৮জন জন ব্যক্তিকে ১ হাজার টাকা করে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের অধীনে অস্বচ্ছল খেলোয়াড় ও ক্রীড়ামোদী ১৩ জনকে ২৪ হাজার করে এবং ৪৫ জনকে ৭ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়েছে।