স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় ‘সার্চ’ কমিটি গঠনের কারনে প্রবাস ফেরতদেরকে হোমকোয়ারেন্টিনের সংখ্যা বেড়েছে। সোমবার (২৩ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬৮৪ জন প্রবাসী হোমকোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এর আগে গত রোববার সকাল নাগাদ হোমকোয়ারেন্টিনে থাকার সংখ্যা ছিলো ৩৮৮ জন। অথচ রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় হোমকোয়ারেন্টিনে গেছেন আরো ২৯৬ জন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাঠ পর্যায়ে ‘সার্চ’ কমিটি গঠনের সুফল হিসেবে তারা প্রবাস ফেরতদের বাগে আনতে পারায় হোমকোয়ারেন্টিনের সংখ্যা বেড়েছে। গত রোববার থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করে ‘সার্চ’ কমিটি। এছাড়া প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতার কারণে প্রবাস ফেরতরা নিজেদেরকে গুটিয়ে নিচ্ছেন।
এদিকে করোনার আতঙ্কে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো এখন অনেকটাই ফাঁকা। বহির্বিভাগের পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি থাকার রোগীর সংখ্যাও অনেক কমে গেছে।
সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, বড় ধরণের সমস্যা না হলে যেন হাসপাতালে না আসেন। এছাড়া বাড়ি থেকে চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য চিকিৎসকদের মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে দেয়া হচ্ছে।
তিন ইউনিট প্রস্তুত:-
করোনা আক্রান্ত হয়েছে- এমন সন্দেহভাজনদের রাখার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনটি ইউনিট প্রস্তুত করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, প্যানেশিয়া হাসপাতাল, আল-বারাকা হাসপাতালে ওই তিনটি ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে। সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনসহ সংশ্লিষ্টরা ওই তিনটি ইউনিট প্রস্তুতির ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছেন।
এদিকে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ১০০ লিটার স্যানিটাইজার প্রস্তুত হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সোমবার বিকেলে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ জনের মতো শিক্ষার্থী স্যানিটাইজার তৈরির কাজে ব্যস্ত আছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন জানান, দুই হাজার জনকে দেয়ার জন্য এসব স্যানিটাইজার প্রস্তুত হচ্ছে শিক্ষকদের টাকায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদ্যালয়ের সাবেক তিন শিক্ষার্থীর উদ্যোগে প্রস্তুত করতে থাকা ওই স্যানিটাইজার জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন অফিসে বিতরণ করা হবে।
হাসপাতাল ফাঁকাঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালসহ আটটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগ ও আন্তবিভাগে রোগীর সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের একাধিক ওয়ার্ড সোমবার খালি পড়ে থাকতে দেখা যায়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ শওকত হোসেন জানান, বড় ধরণের সমস্যা না থাকলে হাসপাতালে যেন কেউ না আসেন সে বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বাড়িতে বসে চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য ফোন নম্বর দিয়ে দেয়া হচ্ছে।
যে কারণে হাসপাতালে বহির্বিভাগের রোগীর সংখ্যা তিনভাগের একভাগে নেমে এসেছে। ওয়ার্ডেও ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা কমে গেছে।