মোঃ রাসেল আহম্মেদ, এনবি ডেস্ক:
ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় মোঃ রুজিনা আক্তার (১৫) নামে এক নবম শ্রেণীর মাদরাসা ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ বড়ুয়া। বাল্য বিয়ে করতে এসে জেলে গেলেন বর সাদ্দাম হোসেন-(২৭)।
সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের শিলাউর পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পঙ্কজ বড়–য়া ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে। পরে বর সাদ্দাম হোসেনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সাদ্দাম হোসেন সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের উত্তর পাড়ার তোতা মিয়ার ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের শিলাউর গ্রামের ১৫ বছর বয়সী এক মেয়ে ও স্থানীয় একটি মাদরাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের উত্তর পাড়ার তোতা মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেনের সোমবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।
দুপুরে বিয়ে বাড়িতে বর উপস্থিত হওয়ার পর বরযাত্রীসহ আত্মীয়-স্বজনদের খাওয়া দাওয়ার প্রায় শেষ পর্যায়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ বড়–য়ার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে বর সাদ্দাম হোসেনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী দল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ বড়–য়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।