নিউজ ডেস্ক,
ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা পথে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এটি যে পরিকল্পিত কোনো হামলা নয় সেটি স্পষ্ট করেছেন বাসের চালক মোঃ আসাদুল হক।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ঘটনার সময় যাত্রীদের সঙ্গে কারো কোনো ধরনের বিবাদ তো দূরে কথাও হয়নি বলে তিনি জানান। তবে ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। একইসঙ্গে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রকাশিত খবরে ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণেদিত বলে উল্লেখ করা হয়।
বাসটি শনিবার সকাল ১১টার দিকে আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দুপুর ১২টার দিকে বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুর এলাকায় আসার পর একটি ট্রাক উল্টোদিক থেকে অতিক্রম করতে গেলে বাসটি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে থামানোর চেষ্টা করে ও সড়কের একপাশে সরে পড়ে। এ সময় পেছনে থাকা পণ্যবাহী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বাসে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি বাসে আটকে যায়। সামান্য ব্যথা পান অটোরিকশার চালক। পরে একটি রেকার এসে বাস থেকে অটো রিকশাটিকে সরিয়ে দেয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। একটি ট্রাক উল্টা দিক থেকে অতিক্রম করতে গেলে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষলে দাঁড়িয়ে যায় বাসটি। এ সময় পেছনে থাকা একটি অটোরিকশা বাসটিতে ধাক্কা খায়। এতে অটোরিকশাটি বাসের পেছনে আটকে যায়।’
দুর্ঘটনায় বাসের কোনো ক্ষতি হয়নি কিংবা যাত্রীরা আঘাতপ্রাপ্ত হননি। সংবাদ সম্মেলনে চালক আরো বলেন, ‘চলার পথে এমন অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। এমনই একটি দুর্ঘটনা এটি। দুর্ঘটনাও একেবারে সাধারন। এটি মোটেও পরিকল্পিত নয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, ‘একটি সাধারন দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচার করা হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতেই চালকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এখানে আনা হয়েছে সত্যটা জানার জন্য। বাসটিতে ভারতীয়সহ ২৬ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১৭ জন ভারতীয় নাগরিক ও ৯জন বাংলাদেশী ছিলো।