নিউজ ডেস্ক,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাছ বেচা কেনা নিয়ে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে শিশু-বৃদ্ধসহ অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কান্দিপাড়ার মাইমল হাটিতে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, জেলা শহরের কান্দিপাড়া এলাকার মাইমলহাটির কয়েকজন বাসিন্দা শহরের আনন্দ বাজারে মাছের ব্যবসা করেন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে আনন্দ বাজারে মাছ বেচা-কেনা নিয়ে কান্দিপাড়ার মাইমলহাটির ভাইট্টাইল্লা গোষ্ঠীর বাবুল মিয়ার সাথে একই মহল্লার মীর কাসিমের ছেলে সাগর মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়।
কথা কাটাকাটির জেরে দুপুরে উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন এক অপরের পক্ষের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সংঘর্ষে আহত মাইমল হাটির শিপন (২২), জুয়েল মিয়া (৩২), মেঘা মিয়া (১৫), নীরব মিয়া (১২), মোঃ রাজ কুমার (২৫), আকলিমা বেগম (২৫), শামীম মিয়া (৩০), আবদুল হান্নান (৬৭), বিশাল (২৩), সাইমন (২৪), খোদেজা বেগম (৮০) ও নিরব (১৩) কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিপনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে আনন্দবাজারে মাইমলহাটির ভাইট্টাইল্লা গোষ্ঠীর মাছ ব্যবসায়ী হান্নাফ মিয়ার ছেলে শামীম, শাদিল, বাবুল এবং হান্নাফের ছোট ভাই জাকিরের ছেলে টিটনের সাথে আরেক মাছ ব্যবসায়ী একই এলাকার বড় গোষ্ঠীর মীর কাসিম মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া ও তার পক্ষের শিপন মিয়ার মাছ বেচা-কেনা নিয়ে কথা কাটাকাটির ও তর্ক হয়। দুপুরের তারা কান্দিপাড়ার মাইমলহাটি এলাকায় নিজেদের বাড়িতে ফিরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বড় গোষ্ঠীর লোকজন ভাইট্টাইল্লা গোষ্ঠীর পক্ষের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেন বলেন, মাছ বেচা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কেউই থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।