নিউজ ডেস্ক,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানির মাংস ও হাড় কাটতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ছুরি ও চাপাতির আঘাতে বিভিন্ন বয়সী প্রায় শতাধিক লোক আহত হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এসব আহতরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেজিষ্ট্রার বই ও বিভিন্ন বে-সরকারি ক্লিনিকের তথ্য থেকে এই পরিসংখ্যান জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৮০ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিক গুরুতর আহত ৫জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহদের বেশিরভাগই হাত-পায়ের আঙ্গুল সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তবে তাদের কারোরই অবস্থাই গুরুতর নয় বলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালের রেজিষ্ট্রার বই থেকে পাওয়া আহতদের মধ্যে রয়েছেন ইউনুছ-(২৪), আতিক-(২৭), রিপন- (৩৭) নাসির মিয়া-(২৮), সালমা বেগম-(৪৫), মাসুম-(২৭), মোক্তার হোসেন-(৪৮), আবুল কালাম-(৫২), মেহেদী-(২৬), আয়েশা বেগম-(১৪), হুমায়ূন-(৬০), মিজান-(৪৮) ও শাকিব-(২৫) সহ প্রায় শতাধিক।
আহত ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, পবিত্র ঈদ-উল আযহার দিন জেলা শহরের পাড়া-মহল্লা সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক কোরবানির পশু জবাই করা হয়েছে। এসব পশু জবাই করতে গিয়ে মৌসুমী কিছু কসাই এবং কোরবানি দাতাদের পরিবারের সদস্যরা পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার কারনেই এমন ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে পশুর হাড়-মাংসের বিভিন্ন অংশ কাটতে গিয়ে তাদের কারো হাতের অংশের আঙ্গুল আবার কারোর পায়ে অসাবধানতাবসত ধারালো ছুরির আঘাত লেগে তারা আহত হয়। তাদের প্রত্যেককে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহতদের মধ্যে শহরের কাজীপাড়ার মোঃ ইউনুস মিয়া জানান, মাংস কাটার সময় পায়ের নিচে রেখে কাটতে গিয়ে আমার পায়ের নিচে ধারালো ছুরির আঘাত লাগে। পরে রক্তক্ষরণ হলে পরিবারের লোকজন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়ে তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে।
সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামের আহত মেহেদী জানান, সকালে কোরবানী দেয়ার পর গরুর মাংস কাটার সময় অসাবধানতাবসত আমার হাতে ছুড়ি লেগে হাতে আঘাত লাগে। রক্তক্ষরন হচ্ছিল। পরে সদর হাসপাতালে এসে ব্যান্ডেজ করার পর রক্ত ঝড়া বন্ধ হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্নিবান মোদক জানান, সকাল থেকে প্রায় একশত রোগী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা সবাই কোরবানীর মাংস, হাড় কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। সকলকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে যাদের আঘাত গুরুতর তাদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি দেয়া হয়েছে। আহতরা সবাই শঙ্কামুক্ত।