নিউজ ডেস্ক,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একদিনে চারজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এদের মধ্যে তিনজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছে। জেলা সদর, বিজয়নগর, নাসিরনগর ও নবীনগর উপজেলায় এসব আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের সাদেকপুর গ্রামের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে সাজু মিয়া (৪৩) ভোর ৬টার দিকে আতাগাছের সাথে রশি লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, মানসিক অস্থিরতা ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, দুপুরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের দত্তল খলা গ্রামের রাজু মিয়ার স্ত্রী মালেকা বেগম (৪৫) নামের এক নারী কীটনাশক পানে আত্মহত্যাচেষ্টা করেন। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পারিবারিক কলহ ও মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন থাকায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আত্মহত্যাকারী অপরজন নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের বেরুইন গ্রামের লালচান সরকারের স্ত্রী শুকলা রানী বিশ্বাস (৩০)। তিনি আমগাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তবে তার আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি৷ শুকলা রানীর আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা। তার পরিবারের সদস্যরা জানান, শুকলা রানী ভোরের দিকে আত্মহত্যা করেন৷
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম জানান, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিতনাগুথ ইউনিয়নের পাটনী পাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে রুবিনা আক্তার (১৫)। সে নবীনগর পৌরসভার মাঝিকারা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার এক বাড়িতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে থাকতো। মঙ্গলবার রাতে রুবিনা বাথরুমে রশি লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রুবিনার আত্মহত্যার কারণ জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।