নিউজ ডেস্ক,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী এক পরিবার। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ঘাটিয়ারা গ্রামে বাড়ির উঠানে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্ত ধন মিয়ার মেয়ে আঁখি বেগম।
এসময় তিনি বলেন, গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে বাসুদেব ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে আব্দুল হকের ছেলে মোঃ নুরু মিয়া তার বড় ভাই শামীম মিয়া, কাশেম মিয়া সহ ৮/১০ জন ভাড়াটিয়া লোক পূর্ব শত্রুতার জেরে তাদের তফসিল ভুক্ত জায়গায় থাকা ২২টি কাঁঠাল গাছ, ১০টি আকাশি গাছ, ২টি রঙ্গিন গাছসহ তিনলাখ ২০ হাজার টাকার গাছ জোরপূর্বক ভাবে কেটে ফেলে। কাঁঠাল গাছ গুলোতে বছরে দুই লাখ টাকার ফলন হত। এ ছাড়াও রোপনকৃত বিভিন্ন জাতের শাক সবজিও নষ্ট করে ফেলে। এছাড়া তাদের বাড়ির পশ্চিম দিকের প্রায় দুই শতক জায়গা ও দখল করে রেখেছে। বিভিন্ন সময় মারার জন্য দেশীয় অস্ত্র অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এসব বিষয়ে আমরা আইনিভাবে বিচার পাওয়ার জন্য দোষীদের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে দুটি মামলা দায়ের করি। আদালত মামলা দুটি তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
গাছ কাটার বিষয়ে লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানকেও অবগত করি। এরপর থেকে ওই পক্ষের লোকজন আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। যে কারণে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
তিনি অভিযোগ করেন, তাদের অত্যাচারে গ্রামের সাধারণ মানুষও অতিষ্ঠ। আমাদের দাবি তাদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠ বিচার করা হোক।
এ বিষয়ে বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি মিথ্যা। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। সরাসরি এসে কথা বলুন বলে মুঠোফোনটি কেটে দিলেন।