নিউজ ডেস্ক,
শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে ফেসবুক ভিত্তিক সামাজিক সংগঠন “সনাতন কমিউনিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া”র আয়োজনে পূজোর খুশিতে দুই শতাধিক সাধারণ মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ীতে এসব বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রাট আবদুল্লাহ আল মামুন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: বিল্লাল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, কালভৈরব মন্দির কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিতিশ রঞ্জন রায়, সনাতন কমিউনিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এডমিন অভিজিৎ সুত্রধর।
এসময় অতিথিরা বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের সংস্কৃতি অনেকট সমৃদ্ধ। হাজার বছরের সংস্কৃতি। উৎসবের রঙ্গে বর্ণিল হই সবাই। “সনাতন কমিউনিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া” সংগঠনের কাজটি খুবই প্রশংসনীয়। সমাজের বৃত্তবান আছেন, তারা যদি এগিয়ে আসেন উদ্যামী যুবকদের সহযোগিতা করেন তাহলে এ সংগঠন আরো বেশি দূর এগিয়ে যাবে।
সময় টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান উজ্জল চক্রবর্তী বলেন, এ সংগঠনের সদ্যসরা তাদের পূজোর খরচের টাকা আলাদা করে রেখে তারা এ অনুষ্ঠান করছে। প্রতিবছরই তারা এমন আয়োজন করে থাকে। করোনাকালীন সময়েও তারা তাদের সাধ্যমত মানুষের পাশে দাড়িয়েছিল। আমরা মনে করি সমাজের যারা বৃত্তবান আছে তারা যদি তাদেরকে সহযোগিতা করে তাহলে এই সংগঠন আরো বেশি এগিয়ে যাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী বলেন, সনাতন কমিউনিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যে উদ্যোগ সেটি খুবই মহৎ। তারা তাদের সাধ্যমত মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। কেউ যেন পূজোর খুশি থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য তারা তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছে। আমরা আগামী দিনে তাদের পাশে থাকব। সেই সাথে প্রশাসন বা সমাজের বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: বিল্লাল হোসেন বলেন, সনাতন কমিউনিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এ উদ্যোগটি ব্যতিক্রম একটি উদ্যোগ। আমরা তাদের পাশে সবসময় আছি। আশা করি তারা আরো এগিয়ে যাবে।
প্রধান অতিথি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার উৎসবের সাথে আমাদের সংস্কৃতির কোনো পার্থক্য থাকে না। আমাদের সংস্কৃতি উৎসবের ক্ষেত্রে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। বাংলাদেশের সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ অনেক শক্তিশালী। ই সংস্কৃতি যেমন চলে আসছে আগামীতে ও চলবে। আমাদের সংস্কৃতিতে কোনো ছন্দপতন হবে না সেটি আমরা প্রত্যাশা করি। সংস্কৃতির সমন্বয়ে আমাদের ভবিষৎ আরো শক্তিশালী হবে বলে আমরা মনে করি।
অনুষ্ঠানে জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ সহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।