স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সিএনজিচালিত অটোরিকসা ভাড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৪০জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ও সোমবার রাতে উপজেলার চর ইসলামপুর বাজারের কাছে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ও শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় চর ইসলামপুর বাজারের মুদি দোকানী নবীর মিয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে তার দোকানের জন্য উপজেলার রামপুর বাজার থেকে তেল নিয়ে আসেন। তেলের ড্রামের কারণে অটোরিকশার দুই সিটে যাত্রী তুলতে না পারায় চালক শরীফ মিয়া নবীর মিয়ার কাছে দুই সিটের জন্য ৫০ টাকা ভাড়া দাবি করেন। এনিয়ে চালক শরীফের সাথে দোকানী নবীর মিয়ার বাগবিত-া হয়। এ সময় নবীর মিয়ার ছেলে ইকবাল মিয়া অটোরিকশা চালক শরীফের সাথে অশোভন আচরণ করেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতেই শরীফ ও নবীর মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় দেড়ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৪০জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটতরাজ করে দাঙ্গাবাজরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আহতদের মধ্যে নাফি মিয়া- (২২), আবুল কাশেম-(২০) ওসমান-(২২), ইয়াকুব মিয়া-(২২), মুক্তার-(২৭), জামাল মিয়া-(২৬), আনিছ মিয়া-(২৫), জজ মিয়া-(৫৫), জাহাঙ্গীর-(২৫), ছাদেক মিয়া-(৫৭), আদু মিয়া-(৬০), বায়েজিদ-(৫০), মোহাম্মদ আলী- (৫৬), পলটু মিয়া-(৫০), বিল্লাল মিয়া-(২৫) ও সুজন মিয়া-(২০) কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়। বাকীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন বে-সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নেয়।
হাসপাতালে আহত মুক্তার মিয়া ও আনিসুর রহমান জানান, সোমবার রাতে চর ইসলামপুর গ্রামের মাইজহাটির অটোরিকসার চালক শরীফের সাথে একই এলাকার লম্বাহাটির নবীর মিয়ার ভাড়া নিয়ে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সকালে নবীর মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজন গাজী মেম্বারের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে শরীফের গোষ্ঠীর লোকদের উপর হামলা করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪০জন আহত হয়।