স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব মসজিদ পাড়ার অর্ধশতাধিক পরিবার। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। সামান্য বৃষ্টির পানিতে প্রধান সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াতকারীদের চলাচল অনেক কষ্ট হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেন পরিস্কার না করার কারণেও হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে নজর নেই বলেও অনেকে অভিযোগ করেন।
সরজমিনে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বাইপাস সংলগ্ন পূর্ব মসজিদ পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, বিশাল একটি খালি জায়গাজুড়ে পানি আর পানি। এর ঠিক উল্টোদিকেই বেশ কিছু বাড়ি। একটি বাড়ি থেকে এক মহিলা এসে তাদের দুভোর্গের কথা জানান।
এদিকে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গিয়েছিলো আখাউড়ার প্রধান প্রধান সড়ক।
এর মধ্যে সড়ক বাজার, মসজিদ পাড়া এলাকা, খড়মপুর এলাকায় হাঁটু সমান পানি জমে যায়। ঘন্টাদু’য়েক সময় ওই এলাকাগুলোতে যানবাহন চলাচলই বন্ধ ছিলো। একই সময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়।
পূর্ব মসজিদপাড়ার কাসেম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকা আজগর আলীর স্ত্রী তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘প্রায় ১৪ বছর ধরে এখানে থাকি। এবার বৃষ্টির মৌসুমের শুরুতেই আমরা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছি। বাড়ি থেকে বের হওয়ার দুই পথেই পানি আর পানি। মূলত যে পথ দিয়ে পানি বের হতো সেখানে একটি জায়গার মালিক মাটি ফেলে পাইপের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন।
মোঃ আলমাস মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা পৌর কাউন্সিলরের সাথে কথা বলেছি। তিনি এলাকা ঘুরে দেখেছেন। নিজ নিজ জায়গাতে মাটি ফেলার কথা বলছেন। পাশাপাশি ছোট ছোট ড্রেন কেটে দিয়েছেন। কিন্তু এতে কোনো সমাধান হবে না। আমরা স্থায়ীভাবে এর একটা সামাধান চাই।
নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাত আক্তার বলে, ‘পানির জন্য বাড়ি থেকে বের হতে পারি না।’
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী বৃষ্টি আক্তার বলে, ‘আমাদের বাড়ির উপর দিয়ে সবাই চলতো। এখন পানি উঠায় তাদের আসতে কষ্ট হয়। আমি তাদের এলাকা দিয়ে স্কুলে যেতাম। এখন বিকল্প পথে যেতে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সিরাজুল ইসলাম এমরান কিছু পরিবার পানিবন্দি থাকা ও সড়কে পানি জমে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, পানি নিস্কাষন করতে কাজ করেছেন। পূর্ব মসজিদ পাড়ায় মাটি কেটে ছোট ছোট ড্রেন করা হয়েছে। স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হবে।