ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাসান মিয়া-(৪০) নামে এক ব্যক্তিকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে র্যাবের কাছে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকজন।বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের খারকুট গ্রামের নিজ বাড়িতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন গ্রেপ্তারকৃত হাসান মিয়ার বাবা আবদুস সাত্তার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবদুস সাত্তার বলেন, তার ছেলে হাসান মিয়া মাদক ব্যবসায়ি নয়। এলাকার কেউ যদি হাসানকে মাদক ব্যবসায়ী বলতে পারে তাহলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলা হোক।
তিনি বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার পদে আত্মীয়ের পক্ষে কাজ করায় নব-নির্বাচিত মেম্বার মোঃ রফিকুল ইসলাম হাসান মিয়াকে মাদক ব্যবসায়ী বলে র্যাবের কাছে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাসান মিয়াকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারকৃত হাসান মিয়ার ভাই বাবু মিয়া বলেন, তার ভাই একজন সহজ সরল প্রকৃতির লোক। সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডে আমাদের আত্মীয় আলম মিয়া প্রার্থী হলে তার পক্ষে কাজ করেন ভাই। এতে ক্ষিপ্ত হন প্রতিদ্বন্দ্বি মেম্বার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও তার লোকজন। এর জের ধরে তাকে মাদকসহ ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভাইকে ধরে নিয়ে মাদকসহ মামলা দেয় র্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে হাসানের স্ত্রী শারমিন আক্তার জানান, এক আত্মীয়ের লাশ দেখে বাড়ি ফেরার পথে আমাদের অটোরিকশাটি আটক করে কয়েক ব্যক্তি তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যান। পরে জানতে পারেন তারা র্যাব সদস্য। মামলার কপি তুলে দেখেন মাদকসহ তাকে আটকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নব নির্বাচিত ইউপি মেম্বার মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞেস করলে সবাই বলবে হাসান মাদক ব্যবসায়ি।