স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চালক আসিফকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামী সোহেল মিয়া (২০) ও ইয়াছিন আরাফাত (৪২) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
আসামী সোহেল মিয়া আখাউড়া উপজেলার খরমপুর গ্রামের মুরশিদ মিয়ার ছেলে ও ইয়াছিন আরাফাত একই উপজেলার মৃত হীরা মিয়ার ছেলে।
বুধবার দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ৩০ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুনিয়াউটের মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে মো. আসিফ (২০) ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। রাতে বাড়ি না ফেরায় তার মা রাশিদা বেগম অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। পরদিন পহেলা ডিসেম্বরর তার মা রাশিদা বেগম জানতে পারেন সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের দুবলা গ্রামে রেল লাইনের উপর জবাই করা অবস্থায় আসিফের লাশ পড়ে রয়েছে। এই ঘটনায় রেলওয়ে থানায় অজ্ঞাত ২/৩জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই এর পরিদর্শক মিজানুর রহমানক গত ২৭ জুন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আখাউড়া থেকে সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন সোহেল মিয়ার তথ্য অনুযায়ী অপর পলাতক আসামী ইয়াছিন আরাফাত (৪২) কে গ্রেফতার করা হয়। ছিনতাইকৃত অটোরিক্সাটি ইয়াছিনের গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আসিফকে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করা হয়। ছিনতাইকৃত অটোরিক্সাটি ৩০ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করে ইয়াছিন আরাফাত এর নিকট বিক্রি করে নগদ ১ হাজার টাকা নিয়া চলে যায় সোহেল মিয়া।