স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের কাকরিয়া ও রাণীদিয়া গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০জন আহত হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত কিছুদিন আগে উপজেলার অরুয়াইল থেকে কাকরিয়া ও রাজাপুর পর্যন্ত গ্রামের কাঁচা রাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল শুরু হয়। এতে বাঁধা দেয় রাণীদিয়া গ্রামের লোকেরা। ওই গ্রামের লোকেরা এই রাস্তা দিয়ে মোটর সাইকেলযোগে যাত্রী আনা-নেওয়া করে। কাকরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য সুন্দর আলীর রয়েছে বেশ কয়েকটি অটোরিকসা।
তাই তিনি এই রাস্তা দিয়ে অটোরিকসা চালাতে চান। এনিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকসা চালক ও মোটর সাইকেল চালকদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের জের ধরে গত ৯ মার্চ সুন্দর আলী মেম্বারকে মারধোর করে রানীদিয়া গ্রামের মোটর সাইকেল চালকরা। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়।
এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে উভয় গ্রামের দাঙ্গাবাজরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে কাকরিয়া গ্রামের পক্ষে সংঘর্ষে অংশ নেয় ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের লোকেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তাৎক্ষনিকভাবে আহতদের নাম জানা যায়নি। আহতদেরকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, সংঘর্ষ বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে আছে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কোনপক্ষই থানায় মামলা দায়ের করেননি।