স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি বহরে হামলা হয়েছে। এতে ইউএনওসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়।
রবিবার বিকেলে উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের বিলঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, কসবার ইউএনও মাসুদউল আলম, কসবা থানার এস. আই মো. হারুনুর রশিদ, পুলিশের নায়ের আলী আজম, কনস্টেবল মাহবুবুল, জয়রুপ।
পরে পুলিশ গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদউল আলম জানান, ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কসবার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালানো হয়।
এ সময় কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ আলমগীরকে আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আলমগীরকে এক বছরের কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত আলমগীরকে সাজা নিয়ে থানায় নিয়ে আসার পথে বিলঘর এলাকায় পৌঁছামাত্র হামলা হয়। আলমগীরকে ছাড়িয়ে নিতে তার লোকজন এ হামলা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপে তিনিসহ অন্যান্যরা আহত হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ লোকমান হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে ১০ রাউন্ড গুলি ছুড়তে হয়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরকে গ্রেপ্তারেরও চেষ্টা চলছে।