স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েলসহ চারজনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি খাস জায়গা ও ব্যক্তি মালিকানার ফসলি জমি থেকে জোরপূর্বক ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি ও বালি উত্তোলন করে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের ওলিউল্লাহর স্ত্রী শারমিন আক্তার এই অভিযোগ করেন। প্রশাসন ইতিমধ্যেই চারটি ড্রেজার ও পাইপ জব্দ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তেব্যে শারমিন আক্তার বলেন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, কসবা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শরীফুল হক স্বপন, পৌর কাউন্সিলর মোঃ সজীব ও বিনাউটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সুমন চৌধুরী কসবা উপজেলার তিনলাখপীর এলাকায় রাস্তার পাশে সরকারি খাস জায়গা ও ব্যক্তি মালিকানার ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি ও বালি উত্তোলন করছেন। জমিতে ৩শ’ ফুট গভীর করে ড্রেজার দিয়ে মাটি ও বালি উত্তোলন করে তমা গ্রুপের কাছে বিক্রি করে শত কোটি টাকা উপার্জন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সরকারি খাস জায়গা থেকে মাটি ও বালি উত্তোলনের ফলে পাশে থাকা ব্যক্তি মালিকানাধীন ৩০ বিঘা ফসলি জমির সম্পূর্ণ অংশের মাটি ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে শতাধিক কৃষক ভূমিহীন হওয়াসহ বসত ভিটা এবং বিল্ডিংয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। কসবা-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক লাইনের একটি খুঁটি হেলে পড়েছে।
এতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া- চট্টগ্রাম মহাসড়কের যে কোনো মুহুর্তে বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শারমিন আক্তার অভিযোগ করে বলেন, এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযুক্তদের সাথে দেখা করলে তারা তাদেরকে হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেন। সংবাদ সম্মেলনে শারমিন আক্তারের শ্বশুর বাছির মিয়া, ক্ষতিগ্রস্থ বাচ্চু মিয়া, বাবুল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মাটি ও বালি উত্তোলনের সাথে জড়িত নন বলে দাবি করেন। কাউকে হুমকি দেয়ার বিষয়টিও তিনি জানেন না বলে জানান।