এনবি ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, ৬০ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ইকবাল হোসেন, ২৫ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম কবির,
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, র্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম. রশিদুল ইসলাম, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ রাশেদুল কায়সার ভূইয়া জীবন, কমিটির সদস্য জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, চৌধুরী আফজাল হোসেন চৌধুরী নিছার, অ্যাডঃ পিপি অ্যাডঃ এস.এম. ইউসুফ, তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত প্রমুখ।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, উন্নয়নের মহাসড়কে ব্যারিকেড সৃষ্টিকারী, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী ও দুর্নীতিবাজদের প্রতিহত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, মাদক থেকে সমাজে হাজারো সমস্যার সৃষ্টি হয়। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করে জেলায় মাদকদ্রব্য বিরোধী তৎপরতা আরো বৃদ্ধি করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান কসবা বর্ডার হাট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইন মোতাবেক চালানোর উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ৫ কিলোমিটারের দূরবর্তী কোন ব্যক্তি যাতে এই হাটে না আসতে পারে সেদিকে সকল সংস্থাকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সাংবাদিক জাবেদ রহিম বিজনকে হত্যার হুমকিদাতাদের সনাক্তকরনে সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চলছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে হুমকিদাতা প্রকৃত অপরাধীকে বের করা হবে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে অবৈধ এ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেন্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। সভা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মিতু মরিয়ম।