
নিউজ ডেস্ক,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেষ হয়েছে ৩ দিন ব্যাপী কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব। গত সোমবার উৎসবের শেষ দিনে “সোনালী কাবিন” পদক-২০২৫ প্রদান করা হয়। পদক পেয়েছেন বাংলা একাডেমীর সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি।
কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাতের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হক সরকার, কবি মহিবুর রহিম।
পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী শহরের নিয়াজ মুহম্মদ স্কুল মাঠে শুরু হয় ৩ দিনব্যাপী আল মাহমুদ স্মরণোৎসব।
কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদ শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্কুল মাঠে এই স্মরণোৎসবের আয়োজন করে। উৎসবে প্রতিদিন আলোচনা সভা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অর্ন্তভূক্ত ছিলো।
পদক গ্রহন করে বাংলা একাডেমীর সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, কবি আল মাহমুদ ছিলেন আধুনিক বাংলা কবিতার একজন মহান কবি। যিনি অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ভাষায় মানব জীবন সহ দেশ, সমাজ, সাহিত্য এবং জাতি সত্তাকে তুলে ধরেছেন। তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকেই তার জীবনী সম্পর্কে সকলকে জানতে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ও সুন্দর জাতি রুপে গড়ে তুলতে এবং জাতীয় ঐক্যবোধ সৃষ্টি করতে আল মাহমুদের কবিতাকে সংরক্ষণ করতে হবে। এ সময় তিনি কবি আল মাহমুদের জীবনী রচনা ও স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য তরুণ লেখকদের প্রতি আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, একজন লেখকের জীবনে নানা পরিবর্তন ঘটতে পারে। তবে তিনি কবি হিসেবে কেমন কবিতা লিখেছেন সেটাই বিচার্য। ত্রæটি বিচ্যুতি সবার মধ্যেই থাকতে পারে। তবে কবি আল মাহমুদের ত্রুটি বিচ্যুতির তুলনায় তার গুণ ছিলো অনেক বড়। ছোট ত্রæটি বিচ্যুতি একজন লেখকের বড় গুণকে ম্লান করতে পারে না।
উল্লেখ্য, কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহন করেন এবং ২০১৯ সালের ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।