নিউজ ডেস্ক,
সরকারী নিয়ম-নীতির কোন তোয়াক্কা না করেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবাধে ফসলি জমি থেকে ইট ভাটার জন্য মাটি কেঁটে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। কখনো সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে আবার কখনো তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে এ কার্যক্রম। এতে একদিকে যেমন ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি স্থানীয়ভাবে খাদ্য ঘাটতিও আশঙ্কা করছে কৃষকরা। এদিকে কৃষি কর্মকর্তার মতে জমি থেকে মাটি কাটার ফলে কমছে ফসলি জমি। তবে জেলা প্রশাসক বলছেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।
ফসলি জমি থেকে ইট ভাটার জন্য মাটি কাটার এ চিত্র ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বধুন্তি, রামপুর ও সরাইল-নাসিরনগর সড়কের দু’পাশের অংশে। এসব এলাকার ফসলী জমি থেকে দিনের পর দিন এভাবেই চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। জেলা সদর, কসবা, আখাউড়া নাসিরনগর, নবীনগরের বিভিন্ন এলাকার চিত্র একই। এসব এলাকার ফসলি জমির উপরি ভাগের উর্বর মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে ইট ভাটার জন্য। অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত এ মাটি প্রায় ২শ ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে ফসলি জমি উর্বরতা হারাচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে লোক দেখানো অভিযান চালানো হলেও এর কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। মাটি খেকো এ চক্রটি ভেকো দিয়ে গভীর গর্ত করে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটছে। দিনের পর দিন এ কার্যক্রম চললেও তা বন্ধে কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এতে বিস্তির্ণ এলাকার কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি উজার হয়ে যাচ্ছে। এসময় ক্ষতিগ্রস্তরা জানান দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া না হলে পরিবেশ বিপর্যয় সহ আগামীতে খাদ্য উৎপাদনে এর বিরাট প্রভাব পড়বে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, মাটি কাটার ফলে ফসলি জমির উপর বিরূপ প্রভাব পরবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক বলেন, কৃষি জমি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে আমরা সচেষ্ট আছি।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।