স্টাফ রিপোর্টার,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পুলিশ হেফাজতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজির আহমেদ সাপুর মৃত্যুতে আজ শুক্রবার বাদ জুম্মা শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গ্রামবাসীর উদ্যোগে আলীনগর মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন শাহ মোঃ আবুল কাশেম। প্রভাষক জাফর আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় শোকসভায় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুর রাশেদ, বাংলাদেশ জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নিহতের বড় ভাই হোসাইন আহমেদ তফছির, আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট সৈয়দ তানবির হোসেন কাউসার, সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সহকারি সমিতির সভাপতি মোঃ নূরু মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সাংবাদিক মোঃ আবেদুর অর শাহিন, হানিফ মুন্সী, অ্যাডভোকেট জয়নাল উদ্দিন, শাহ মোঃ রইছ আলী, ইউপি সদস্য সালাহ উদ্দিন সুরুজ, জয়নাল আবেদীন ও বিল্লাল মিয়া প্রমুখ।
শোক সভায় হোসাইন আহমেদ তফছির বলেন, নাজির আহমেদ সাপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাপুকে গত ৩/৪ বছর ধরেই নানা ধরণের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল একটি ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের কতিপয় সদস্য। ঘটনার দিন সকাল বেলাও সাপুকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি গ্রামের অনেক সালিসকারক ও মুরব্বিকেও জানানো হয়েছিল।
তিনি বলেন, পুলিশ হেফাজতে সাপুর মৃত্যু রহস্যজনক। আমরা পুলিশের উপর ভরসা রাখতে পারছি না। তিনি বলেন, সরাইলবাসী আপনারা আমার ভাইয়ের ক্রয়কৃত জায়গার কাগজপত্র দেখে ফায়সালা করে দেন। কারণ জায়গার জন্য সাপুর মত আমাদের অন্য কাউকেও হত্যা করতে পারে।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় অথবা অন্যকোন সংস্থার দ্বারা তদন্তের দাবি করেন। এর ব্যতিক্রম হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষনা দেন।
বক্তারা বলেন, সারা উপজেলায় পুলিশ সোর্স নামের কিছু দালাল আচে।এদের থেকেও সাবধান থাকতে হবে। পুলিশের দাবি, পুলিশী হেফাজতে নয়, প্রতিপক্ষের দ্বারা শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনে ষ্ট্রোক জনিত কারণে সাপুর মৃত্যু হয়েছে।