এনবি প্রতিনিধি॥
গত রবিবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোডে চাঁদাবাজির ঘটনায় ২শ্রমিক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হলো জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সমাজ কল্যান সম্পাদক আরব আলী বক্স (৩০) ও জেলা সিএনজি মালিক সমিতির শ্রম-বিষয়ক সম্পাদক হামিদ বক্স (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের উভয়ের বাড়ির সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামে। গ্রেফতার পরবর্তী বিশৃংখলা এড়াতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ মেড্ডা সিএনজি স্টেশন, বিশ্বরোড়সহ বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে। এর আগে গাড়ি আটকিয়ে মারধর করে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা করেন বিজয়নগর উপজেলার রামপুরা এলাকার জজ মিয়ার পুত্র সিএনজি চালক কাজী নুরুল আমিন। আজ সোমবার দুপুরে তাদেরকে পুলিশ প্রহরায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে প্রেরন করা হয়।
জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও বিশ্বরোড মোড় শ্রমিক লীগ সাধারন সম্পাদক আরব আলী বক্স বিশ্বরোড মোড়ের সিএনজি চালিতসহ সকল অটোরিক্সা নিয়ন্ত্রন করে আসছে। প্রতিদিন বিশ্বরোড মোড় দিয়ে অন্তত ১২শতাধিক অটোরিক্সা চলাচল করে। এসব গাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডা ও কাউতলীর গাড়ি জেলার আশুগঞ্জ, সরাইল, নাসিরনগর, শাহবাজপুর, মাধবপুরে চলাচল করে। প্রতিটি গাড়ি রশিদ দিয়ে ২০টাকা আর রশিদ ছাড়া ১০টাকা আদায় করে আসছে। বিশ্বরোড এলাকায় ছায়েদ মিয়া, জুবায়ের বক্স (আরব আলী বক্স) চাচাতো ভাই, রাশেদ মিয়া, আব্দুল্লাহ, মোঃ রাহুল মিয়া, মোঃ রিফাত মিয়া, মোঃ ছাদু মিয়া, এনামুল হক, মিজু মিয়া, সালেক মিয়া দু’দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চাঁদার টাকা উত্তোলন করে। তার রয়েছে লাঠিয়াল বাহিনী। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মারধরসহ বিভিন্ন হেনস্তা হতে হয় চালকদের। জেলার শ্রমিক সংগঠনের কতিপয় নেতার ছত্রছায়ায় সে এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছে। হাইওয়ে থেকে উত্তেলিত চাঁদার একটি অংশ নেতাদের মাঝে বন্টন করে দেয়া হয়। তার কাছে পুরো বিশ্বরোড জিম্মি হয়ে পড়েছে। সরাইল বিশ্বরোড হাইওয়ে এলাকায় আরব আলী বক্সের নিজস্ব হাইম্যাক্স ইউনানী ল্যাবরেটরীজ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানেই বসেই বিশ্বরোড এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রন করে। সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের ইমান আলীর পুত্র আরব আলী বক্সের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল, বিজয়নগর এবং মাধবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনসহ ৪টি মামলা রয়েছে।