সরাইল প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে পূর্ব শত্রুতার জেরে দল বেঁধে মহড়া মারধর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাটের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামী করা হয়েছে ৪৪ জনকে। উপজেলা সদরের বেপারি পাড়ায় হামলা চালিয়ে এক যুবককে গুরুতর আহত ও রকেট মেম্বারের বসত বাড়িতে ভাংচুর লুটপাটের ঘটনায় মামলাটি দুটি হয়েছে।
উভয় মামলায় ইউপি সদস্য শাহ আলম সহ মোট ৪৪ জনকে আসামী করা হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে রাতের বেপারি পাড়া এখন পুরুষশুন্য। মামলা, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শাহ আলম ও রকেট মেম্বারের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। গত উপজেলা নির্বাচনে তারা দুইজন দুই বলয়ের পক্ষে কাজ করেছেন। নির্বাচনের দিনই প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় রকেট। জয়ী হয়েছেন রকেট।
এতে করে উভয় গোত্রের বিরোধ আরো চরম আকার ধারণ করে। এসব বিরোধের জের ধরেই শাহ আলম মেম্বারের ভাতিজা ফরহাদ গত বৃহস্পতিবার রাতে মহড়া দিয়ে রকেটের বাড়ির গেইটে কূপিয়েছে। রাতে ফরহাদকে আটক করে গভীররাতে পুলিশ থানা থেকে ছেড়ে দেয়। এই ফরহাদই পরের দিন অর্থাৎ গত শুক্রবার সকালে বাজারে প্রকাশ্যে তারেককে কূঁপিয়ে ও ছুকিাঘাতে জখম করে। সেখান থেকে দল বেঁধে এসে রকেটের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
আহত তারেকের বাবা আতিকুর রহমান বাদী হয়ে শাহ আলম মেম্বারকে প্রধান আসামী করে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আর রকেটের ছেলে রবিন বাদী হয়ে আরো ২৮ জনের আরেকটি মামলা করেছেন। পুলিশ এখনো কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে সন্ধ্যার আগ থেকেই বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে থাকে বেপারি পাড়ার পুরুষরা। তাই গত দুই রাতেই পুরো গ্রামটি ছিল পুরুষশুন্য।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, দুটি মামলা নথিভূক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অপরাধীদের সাথে কোন আপোষ নেই।