এনবি ডেস্ক:
শনিবার মধ্যরাতে এই ঘটনায় সরাইল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত উজ্জ্বল উপজেলার চুন্টা ইউপির নরসিংহপুর গ্রামের মৃত জহিরুল হকের ছেলে। সে উপজেলা সদরের হালুয়াপাড়ায় বাসা ভাড়া করে পরিবার নিয়ে বসবাস করতো।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত উজ্বল উপজেলায় ঠিকাদারি ব্যবসা করেন। তিনি তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমকে নিয়ে সদরের হালুয়াপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। স্বপ্না বেগম বাসায় শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতেন। একই এলাকার এক রাজমিস্ত্রীর প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েও তার কাছে প্রাইভেট পড়তো। কিছুদিন আগে স্বপ্না বেগম বাসায় না থাকার সুযোগে তার স্বামী কৌশলে চকলেট কেনার দশ টাকা ওই শিশুর হাতে দিয়ে ফুসলিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এর কয়েকদিন পর গত বৃহস্পতিবার পুনরায় শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। শনিবার শিশুটি অসুস্থ বোধ করলে সে তার মাকে ঘটনাটি খুলে বলে।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, লম্পট উজ্বল চকলেট কেনার টাকার লোভ দেখিয়ে আমার শিশু মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেছে। এতদিন মেয়েটি কিছু না বললেও শনিবার মেয়ে অসুস্থ বোধ করলে সে তার মায়ের কাছে সব ঘটনা খুলে বলে। পরে তাৎক্ষণিক মেয়েকে নিয়ে আমি থানায় উপস্থিত হই।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তি করার কথা জানিয়ে স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা মামলা না করতে আমাকে ভীষণ চাপ দেয়। পরে আমি তাদের সাফ জানিয়ে দেই, এই অন্যায়ের আইনগত বিচার না পেলে শিশু কন্যাকে নিয়ে আমি আত্মহত্যা করবো।
এ ব্যাপার অভিযুক্ত উজ্বল মিয়া জানান, ধর্ষণ নয়, আমি মাঝেমধ্যে ওই শিশু মেয়েটিকে দিয়ে আমার হাত-পা টিপাইতাম, বিনিময়ে চকলেট কেনার টাকা দিতাম তাকে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন টিটু জানান, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত উজ্বল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগে মামলা নেওয়া হয়েছে। শিশুটি পুলিশ হেফাজতে আছে। রোববার জেলা সদর হাসপাতালে শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষা করানো হবে। পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণ মামলায় যুক্ত হবে।