এনবি প্রতিনিধি:
ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর তিতাস নদীর উপর থাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজের সংস্কার কাজ চলছে পুরোদমে। গত শনিবার বিকেল থেকেই ব্রীজের উপর বেইলী বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি নদীর পাশে চলছে ফেরিঘাট নির্মানের কাজ। রবিবারও চলে পুরানো ব্রীজের উপর বেইলী বসানোর কাজ। বেইলী ব্রীজ নির্মান কাজ শেষ হলে ব্রীজের উপর দিয়ে হালকা যানবাহন ও বাস থেকে যাত্রী নামিয়ে বাস পারাপার করা হবে। অপর দিকে ভারী যানবাহন চলাচল করবে ফেরী দিয়ে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন রবিবার বিকেলে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজের উপর ষ্টিলের বেইলী ব্রীজ নির্মান কাজ চলছে পুরোদমে। নির্মান কাজ শেষ হলে ব্রীজের টেস্টিং কাজ করে মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্রীজটি হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। তিনি বলেন, যাত্রীবাহী বাস থেকে যাত্রী নামিয়ে ব্রীজের উপর দিয়ে বাস পারাপার করা হবে। তিনি বলেন, বিকল্প হিসেবে ভারী যানবাহন পারাপারের জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি ফেরি আনা হচ্ছে। আগামী ৬/৭ দিনের মধ্যে ফেরি চলে আসবে। এদিকে শাহবাজপুর ব্রীজ বিকল হওয়ায় মহাসড়কের দু’পাশে ৬দিন ধরে আটকা আছে ভারী যানবাহন। পন্যবাহী ট্রাকের চালকরা ভোগান্তিতে পড়েছে।
বিকল্প সড়ক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সরাইল-নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের লাখাই সড়ক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা-আখাউড়া সড়ক দুটোতে এখনো রয়েছে যানজট। সড়ক দুটি অপ্রশস্ত এবং ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় সড়ক দুটি দিয়ে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। এতে করে বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হোসেন সরকার বলেন ব্রীজটি বিকল হওয়ার পর থেকে সড়কের যানজট নিরসন ও শৃঙখলা ধরে রাখতে কাজ করছি।
উল্লেখ্য গত ১৮ জুন বিকেলে শাহবাজপুরের তিতাস নদীর ওপর ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজের চতুর্থ স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। ফলে যে কোনো মুহুর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় এই ব্রীজ দিয়ে দিয়ে সব ধরনের ভারী ও মাঝারি যান চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেয় সওজ বিভাগ। যানবাহন গুলোকে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-সরাইল-নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা-আখাউড়া সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়।