লেখক-সৈয়দ হাসনাত সিফাত।
গত২৬ শে মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সফরকে কেন্দ্র করে বিনা উস্কানিতে হেফাজতে ইসলাম যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল,রেলওয়ে স্টেশন,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স,পুলিশ সুপার কার্যালয় তাণ্ডব চালায় তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা,সংসদ সদস্য,মন্ত্রী চুপ করে বসে ছিলেন কোন প্রতিবাদ করেন নাই।একটা বিবৃতি ও দেন নাই।
?গত২৭ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ভাঙচুর,রেলওয়ে স্টেশন অগ্নিসংযোগ হেফাজতের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত টাউন হল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের জনসভা শেষে তাৎক্ষণিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি মহোদয়ের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।
?গত ২৮ মার্চ সারা বাংলাদেশে হেফাজত হরতাল ডাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর -৩ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে অবহিত করা হয় শান্তিপূর্ণ হরতাল করা হবে দলীয় কোনো নেতাকর্মীরা যেন বের না হয়,সম্পূর্ণটা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করবে।
?প্রশাসন ২৮ তারিখ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়।২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত সবচেয়ে বেশি অগ্নিসংযোগ তাণ্ডব চালায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ধীরেন্দ্রনাথ টাউন ক্লাব,সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন,ভূমি অফিস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুল,শিল্পকলা,জেলা ক্রীড়া সংস্থা,বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এর বাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি অগ্নিসংযোগ করে।
?২৮ তারিখ তাণ্ডবের পর কোনো সংসদ সদস্য বিবৃতি দেয় নাই,প্রতিবাদ জানায় নাই।অথচ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীও রয়েছেন।যখন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ টিম নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে আসেন, তারপর যখন জননেত্রী শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে সেই তাণ্ডবের ফুটেজ তুলে ধরেন তারপর অনেকেরই ঘুম ভেঙেছে,নিজের দায়বদ্ধতা থেকে বাঁচতে ছুটে এসেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
?আপনারা যারা জেলা আওয়ামী লীগ নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে চান ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান,২৬,২৭,২৮ মার্চ কোথায় ছিলেন।জাতির পিতার মুর্যাল ভাঙচুর করে আপনাদের হৃদয় এতোটুকু ব্যথিত হয় না আপনারা কিসের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেন..?
তৎকালীন সময়ে আপনাদের অবস্থান কি ছিল.???
?কাকে নিয়ে সমালোচনা করছেন উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, তিনি সেই খেলোয়াড় যিনি ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা রাজপথে প্রথম প্রতিবাদ মিছিল করেছেন।কাদা ছোড়াছুড়ি করে ব্যক্তিগত আক্রোশ মিটাতে আওয়ামী লীগ কে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিবেন না।নেতৃত্ব প্রতিযোগিতা থাকবে,তাই বলে দলকে ধ্বংস করে নয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী।
সৈয়দ হাসনাত সিফাত
সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ নেতা।