এনবি ডেস্ক:
একবার পবিত্র ক্বাবাশরিফ পূন নির্মানের প্রয়োজন দেখা দিল।পূন নির্মানের কাজ ও সমাপ্ত হলো।হাজরে আসওয়াদ যথাস্থানে স্থাপনের পর্যায়ে এসে মক্কার গোত্রদ্বয়ের মাঝে বিবাদ লেগে গেল।প্রত্যেক গোত্রের দাবি হল, হজরে আসওয়াদকে যথাস্থানে আমরা ই প্রতিস্থাপন করার হকদার বেশী। তাই আমরা ই একাজ টি সম্পাদন করবো। এই নিয়ে প্রতিটি গোত্রের মধ্যে রীতিমতো যুদ্বের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল।
উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজেদের যুদ্ধ অবস্থা নিরসনে মক্কার সকল গোত্রের প্রবীণ ব্যক্তিগণ বসে সিদ্ধান্ত নিল যে, আমরা নিজেরা যেহেতু কোন সিদ্ধান্তে পৌছতে পারবোনা তাই আগামীকাল সকলের আগে মসজিদে প্রবেশ করবে যে সে ই আমাদের এই পরিস্থিতিতে কি করণীয় সে বিষয়ে যে ফায়সালা বা সিদ্ধান্ত নিবে আমরা সকলে ই তার ফায়সালা মেনে নিব।
ঘটনাচক্রে পরদিন সকালে সকলের আগে যিনি মসজিদে প্রবেশ করলেন তিনি হলেন বিশ্বনবী মোহাম্মদ ( সা:)।
তাকে দেখে সকলে ই বলে উঠলো আল- আমিন, আস- সাদিক ( বিশ্বাসী – সত্যবাদী) এসেছে সেই উত্তম ফায়সালা প্রদানকারী। তার ফায়সালা আমরা সকলে মেনে নিব।
বিশ্বনবী ( সা:) তাদের কথা প্রথমে শুনলেন।কথা শুনে নিজের গায়ের চাদরটি বিছিয়ে নিজ হাতে হাজরে আসওয়াদটি চাদরে রাখলেন।তারপর বিভিন্ন গোত্র প্রধান বা নেতাদেরকে চাদরের একেকটি প্রান্ত ধরে ক্বাবা ঘরের ভিত্তি পর্যন্ত তা নিয়ে যেতে বললেন।
গোত্র প্রধানরা সে অনুযায়ী কাজ করল।অত:পর বিশ্বনবী মোহাম্মদ ( সা:) নিজ হাতে হাজরে আসওয়াদকে ক্বাবা গৃহে স্থাপন করে দিলেন।
মোহাম্মদ ( সা:) এর বিচক্ষণতায় এমন সিদ্ধান্তে একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থেকে মক্কাবাসী মুক্তি পেয়ে গেল।