ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে একই সময়ে ও একই স্থানে উপজেলা আওয়ামীলীগের বিবাদমান দুই গ্রুপ সভা আহবান করায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা সদরের সরকারি হাজী আবদুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। শনিবার দুপুর থেকে রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। আশুগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম মুর্শেদ এই ১৪৪ জারি করেন। শনিবার দুপুর থেকে এ সংক্রান্ত মাইকিং শুরু করে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দলীয় সাংগঠনিক অবস্থার জোরদার করার জন্য গত ১ সপ্তাহ আগে উপজেলা সদরের সরকারি হাজী আবদুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে দলের বর্ধিত সভা আহবান করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু নাছের আহমেদ। শনিবার বিকেল ৩টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় একই স্থানে একই সময়ে পাল্টা প্রতিবাদ সভা আহবান করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক হাজী মোঃ ছফিউল্লাহ মিয়া।
এনিয়ে উভয় গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা প্রশাসন শনিবার দুপুর থেকে রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত সরকারি হাজী আবদুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয় ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে মাইকিং শুরু করেন।
১৪৪ ধারা জারির পর হাজী মোঃ ছফিউল্লাহ মিয়ার গ্রুপ প্রতিবাদ সভা স্থগিত করলেও আবু নাছের আহমেদের গ্রুপ শহরের পূর্ব বাজারে বিওসি ঘাটে বর্ধিত সভা করে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার এটিএম মুর্শেদ জানান, একই স্থানে ও একই সময়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপ পাল্টাপাল্টি বর্ধিত সভা ও প্রতিবাদ সভা আহবান করায় আইন শৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশংকায় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শনিবার দুপুর থেকে রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি বহাল থাকবে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ আলম বলেন, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির আশংকায় এবং উত্তেজনা ঠেকাতে সভাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক হাজী মোঃ ছফিউল্লাহ মিয়া বলেন, আওয়ামীলীগের নামে যে বর্ধিত সভা আহবান করা হয়েছে এই সভাকে প্রতিবাদ জানানোর জন্য পাল্টা প্রতিবাদ সভা আহবান করা হয়ছিল। তিনি বলেন, প্রশাসন ১৪৪ জারি করায় আমাদের সভা স্থগিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আবু নাছের আহমেদ বলেন, দলের সাংগঠনিক অবস্থা জোরদার করার জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা আহবান করা হয়েছিল। আমাদের সভা বানচালের জন্য এখানে পাল্টা প্রতিবাদ সভা আহবান করে প্রতিপক্ষ গ্রুপ।