স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় দুই বন্ধুর কথা-কাটাকাটির জের ধরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছেন। রবিবার রাতে উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা গ্রামে দফায় দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংঘর্ষে আহত ৩৫জন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতরা হলেন, ওমর আলী (২৮), কাজল (৪৮), জহির মোল্লা (৪৫), কাউসার (৫০), মামুন মোল্লা (৩০), লোকমান মোল্লা (৬০), সোহেল (৩৮), শামসুল হক (৪৭), সালমা (৩৫), ইকবাল (৩০), স্বপন (২২), রিয়াদ (১৭), জালাল (২৮), তাকলিক (৩৫), আহাদ (৩৭), আশাদুল (১৭), আমিন (২০), অম্বর (২৫), নয়ন (২০), জাবেদ (১৮), আরমান (১৮), জসিম (২৬), মনির (১৭), রাসেল (১৭), শুরাফ (৪৫), জসিম (১৮), এড. এমদাদুল হক (৩৫), আশুক (৩৫), হাফেজ ধন মিয়া (৫০), চুট্টু মিয়া (৩০), ইসমাইল (৩৭), রাকিব (২৩), কোশেন (৪০), আংগুর (৩০), জহির মোল্লা (৪৫)। এরমধ্যে ৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার আবদাল মিয়ার ছেলের রায়হানের সাথে হোসেন মিয়ার ছেলে জাবেদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। বিকেলের দিকে স্থানীয় একটি খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি হয়। এরই জেরে দুইজনের গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রাত পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের ৩৫জন আহত হয়। তারা সবাই ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে চিকিৎসা নেন। এরমধ্যে ৭জনকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
নাসিরনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় জড়িত থাকায় ১০জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।