এনবি প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সরিষার জমিতে মৌমাছি পালন করে মধু চাষ দিনদিন জনপ্রিয় হয়েছে উঠেছে। এক দিকে সরিষা চাষ, অপরদিকে বাড়তি লাভ মধু উৎপাদন।
উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতোকুড়া গ্রামের বিস্তৃর্ণ জমিতে এবার সরিষা চাষ করা হয়েছে। মাঠে মাঠে এখন হলুদের সমারোহ। সরিষা গাছ বড় হয়ে এখন হলুদ ফুল ফুটেছে। আর এই ফুল মধু উৎপাদনের প্রধান উৎস।
উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ফান্দাউক ইউনিয়নের আতোকুড়া গ্রামে আধুনিক পদ্ধতিতে দুটি মৌ খামার গড়ে তোলা হয়েছে। দুটি মৌ খামারে ২৪০টি বাক্সে মৌমাছি চাষ করা হয়েছে। একটি ফাঁকা জমিতে সারিবদ্ধভাবে বসানো হয়েছে মৌমাছির বাক্স। দিনের বেলায় মৌমাছি সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে বাক্সে মৌ সাজায়। প্রতিটি বাক্সে মাত্র ১টা করে রানী মৌমাছি রয়েছে। মৌমাছির গুন গুনানি শুনে আশপাশ এখন মুখরিত। প্রতি ১ সপ্তাহেই মধুতে ভরে ওঠে মৌচাক।
প্রতিটি বাক্স থেকে সপ্তাহে ৩ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত মধু আহরণ করা হয়। প্রতি কেজি মধু বিক্রি হয় ৫০০ টাকা দরে।
জেলার বিজয়নগর উপজেলা থেকে আসা মধুচাষী রফিকুর রহমান রিমন জানান, আতোকুড়া গ্রামে সরিষা জমিতে ২০০ বাক্স রয়েছে। এসব বাক্স থেকে সপ্তাহে ৫শ কেজির মতো মধু সংগ্রহ করেন তিনি। সরিষা ফুল থেকে নভেম্বর-মার্চ মাস পর্যন্ত মধু আহরণ করা হয়। গত বছরও তিনি এই গ্রামে মধু চাষ করে লাভবান হয়েছেন।
একই এলাকা থেকে আসা শাহীন আহমেদ জানান, আতোকুড়া গ্রামে এই প্রথম তিনি মধু চাষ করতে এসেছেন। অস্থায়ীভাবে অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। সরিষা জমি আর ধনিয়া জমি ঘেঁষে ৪০টি বাক্স বসিয়েছেন। প্রতিটা বাক্স থেকে সপ্তাহে ৩ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত মধু আহরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আনিছুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৪ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ বেশী করা হয়েছে। তিনি বলেন, আতোকুড়া গ্রামে বাক্স পদ্ধতি অবলম্বন করে সরিষা, ধনিয়া, কালিজিরার ফুল থেকে লাখ লাখ টাকার মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে মধু চাষীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।