নিউজ ডেস্ক,
হাওড় বেষ্টিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগর আসনকে বলা হয় আওয়ামীলীগের দূর্গ। ৯৬ এর পর থেকে আসনটি আওয়ামীলীগেরই দখলে রয়েছে। নাসিরনগর আসনে পুরোদমে জমে উঠেছে নির্বাচনী উত্তাপ। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা আর মিটিং, মিছিলে নাসিরনগর যেন এখন উৎসবের নগরী হয়ে উঠেছে। ১৩ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার ৫৪৭ জন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে ভোটের মাঠে লড়ছেন ৫ জন প্রার্থী। তবে ভোটাররা বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের বিপরীতে বিএনপির সাবেক নেতা শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় জমে উঠেছে নির্বাচনের পরিবেশ।
আসনটি আওয়ামীলীগের ঘাঁটি হলেও মূল প্রতিদ্বন্ধিতা জমে উঠেছে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সাংসদ বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (কলার ছড়ি প্রতিক) বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বহিস্কৃত উপদেষ্টা সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানের মধ্যে। প্রতিদিনই তারা সমানতালে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে দেখা গেছে আওয়ামীলীগের কিছু নেতা কর্মীদের। এরই মাঝে নির্বাচন থেকে সরে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে জাতীয় পার্টির প্রার্থীও।
এলাকাবাসী ও ভোটাররা বলেছেন, নাসিরনগর এলাকাটি আওয়ামীলীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কিন্তু বিএনপির সাবেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামানের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি হওয়ায় মাঠে আওয়ামীলীগের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হবে। আমরা চাই জমজমাট উৎসবমূখর এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হোক।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান বলেন দল, মত নির্বিশেষ সবাই আছেন আমার সাথে। উনি (সংগ্রাম) তো নৌকার প্রার্থী, নৌকার ৭০ ভাগ লোক আমার সাথে আছে। ইনশাআল্লাহ যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় আমি জয়ের জন্য শতভাগ আশাবাদী।
আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বলেন, আমি জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। নাসিরনগরের আপামর জনসাধারণ নৌকার সাথে আছে, ছিলো এবং ভবিষ্যৎে ও থাকবে। যারা নীতিতে ছয় নয় করে, যারা বার বার ভোল (দল) পাল্টায় তাদেরকে নাসিরনগরবাসী অতীতেও গ্রহণ করেনি বর্তমানে ও করবে না।