Advertisement

নাসিরনগরের মাটিতে ৭ তারিখের পর এম.পিকে পা রাখতে না দেওয়ার হুমকি আওয়ামীলীগ নেত্রীর

NewsBrahmanbaria

এই আর্টিকেল টি ১১৬।

নিউজ ডেস্ক,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজ্জা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে জানুয়ারির সাত তারিখের পর নাসিরনগরে পা রাখতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার এ হুমকি দেন।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে নাসিরনগর উপজেলা সদরে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী সভা থেকে এ হুমকি দেওয়া হয়। সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। রোমা আক্তার কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নাজির মিয়ার স্ত্রী।

সভায় রোমা আক্তারকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা নাসিরনগরের মানুষ সহজ সরল মানুষ। দাঙ্গা হাঙ্গামা চাই না। আমাদের নেতৃবৃন্দ যে জেল খেটেছেন সেটা আমাদের কলঙ্ক। আপনাদের কাছে আকুল আবেদন ভোট দিয়ে অধিকার ছিনিয়ে নিবেন। ওনি যে বেইজ্জতি করেছেন তার জন্য ধিক্কার জানাই। তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হয়রানি করেছেন। ওনি নাসিরনগর এসেছেন প্রবীণ নেতৃবৃন্দের নাম মুছে ফেলার জন্য। আরে নাম মুছে ফেলা এত সহজ নয়। এটা কাগজে লেখা নাম নয়। মানুষের হৃদয়ে লেখা না মুছে ফেলতে পারবেন না। তবে আপনার নাম কেন। সাত তারিখের পর নাসিরনগরের মাটিতে আমরা আপনাকে পা রাখতে দিবো না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিলো সংগ্রাম হটাও নাসিরনগর বাঁচাও। আমি মনোনয়ন চেয়েও পাইনি। আমাদের সকলের মনের আশা ওনি (একরামুজ্জামান) পূরণ করবেন।’ রোমা আক্তার তার বক্তব্যে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ি প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান। এ বিষয়ে কথা বলতে রোমা আক্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফেন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

এদিকে নাসিরনগরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ একরামুজ্জামানের লড়াই হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট। জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহনূল করিম কাগজে কলমে থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামানকে সমর্থন দেওয়া ও আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র অনেক নেতা একরামুজ্জামানের পক্ষে কাজ করায় ভোটের মাঠ আরো বেশি জমে উঠেছে।

একরামুজ্জামান বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি তাকে বহিস্কার করে। প্রার্থী হয়ে একরামুজ্জামান জানান, সুষ্ঠু ভোট হওয়ার বিষয়ে সরকারের আশ্বাসে তিনি ভোটের মাঠে নেমেছেন। জয়ের ব্যাপারেও তিনি আশাবাদী।

এ বিষয়ে ফরহাদ হোসেন এম.পি বলেন, ‘ওরা তো কত কিছুই বলছে। এ বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। আমি বলবো মানুষ যেন কেন্দ্রে গিয়ে ভাট দিতে পারে, সুষ্ঠু ভোট হয় সে বিষয়টি মাথায় রেখে সবাই কথা বলবেন।’

এর আগে নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেওয়ায় অভিযোগে সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মো. ফরাহদ হোসেনকে ‘তলব’ করেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। পরে স্বশরীরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে হাজির হয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানার অঙ্গীকার করেন এবং অভিযোগ অস্বীকার করেন।

 

Advertisement

Sorry, no post hare.

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com