স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫জন আহত হয়েছেন। এ সময় প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘরে ভাংচুর করে দাঙ্গাবাজরা। বুধবার সকালে উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পুলিশ এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) আতিক মিয়াসহ ১২ জনকে আটক করে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে পুকুরে মাছ ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র সাহেবনগর বাজারে এলাকার হোসেন আলির বাড়ির রাব্বানি মিয়াকে মারধোর করে একই এলাকার মাঈনুদ্দিন মিয়ার বাড়ির সুমন মিয়া ও তার লোকজন। এর জের ধরে বুধবার সকালে উভয় বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫জন আহত হয়।
খবর পেয়ে নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় পুলিশ শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মোঃ আতিক মিয়াসহ উভয়পক্ষের ১২ জনকে আটক করেন।
আহতদের মধ্যে রাব্বানি মিয়া-(৪৫), কাউছার মিয়া-(৩৮), কালু মিয়া-(৪২), হাফিজ মিয়া-(৪৬), জাহাঙ্গীর মিয়া-(৪১), আউয়াল মিয়া-(৪০), সামদানি-(৩১), শামীম মিয়া-(২৯), উবায়দুল্লাহ-(৩৩) ও এনাম মিয়া-(৫০) কে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়। মারাত্মক আহত চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মোঃ মকবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ইউপি সদস্যসহ ১২জনকে আটক করেছে।