স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামের ফয়েজ মিয়া হত্যা মামলার আসামী মোঃ আশরাফুল মিয়া-(৩৬) কে দুইদিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। আশরাফুল মিয়া নিমবাড়ি গ্রামের আউয়াল মিয়ার ছেলে। এর আগে গত ২২ মার্চ রাতে আশরাফুল মিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফয়েজ মিয়া হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কসবা থানার এস.আই আবদুর রাজ্জাক জানান, গ্রেপ্তারকৃত আশরাফুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিনি বলেন, রিমান্ড শেষে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। রিমান্ডে আশরাফুল ফয়েজ হত্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর ভূঞা বলেন, দুইদিনের রিমান্ড শেষে আশরাফুলকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ফয়েজ মিয়া হত্যা ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রেখা বেগম বাদি হয়ে ৩০জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এই মামলায় আশরাফুলসহ দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য কসবা উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামের পান্ডুর গোষ্ঠীর লোকদের সাথে এই গ্রামের কাবিলা গোষ্ঠীর লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জের ধরে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে পান্ডুর গোষ্ঠীর লাবু মিয়ার ছেলে রহিজ মিয়া মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত রহিজ মিয়ার স্ত্রী বাদি হয়ে ২০জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলার ১ নং স্বাক্ষী ছিলেন নিহত রহিজ মিয়ার বড় ভাই ফয়েজ মিয়া।
রহিজ মিয়া হত্যা মামলার আসামীরা (কাবিলা গোষ্ঠীর) দীর্ঘদিন কারাভোগ করে মাস দুয়েক আগে আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়িতে আসেন। এরপর থেকে আসামীরা রহিজ মিয়া হত্যা মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য প্রতিপক্ষের উপর চাপ প্রয়োগ করেন। পান্ডুর গোষ্ঠীর লোকজন রাজী না হওয়ায় গত ১৩ মার্চ শনিবার সকালে কাবিলা গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পান্ডুর গোষ্ঠীর লোকজনের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় টেটার আঘাতে রহিজ মিয়া হত্যা মামলার ১ নং স্বাক্ষী ও রহিজ মিয়ার বড় ভাই ফয়েজ মিয়া-(৬০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় পরদিন নিহতর স্ত্রী রেখা বেগম বাদি হয়ে ৩০জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।