স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য সুমন রানার বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে (১৬) অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কিশোরীর পিতা অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সুমন রানাসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত ১৩ জুলাই কসবা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামীরা হলেন সুমনের পিতা আজিজুল হক, সুমনের চাচা শামসুল হক, নিকটাত্মীয় মোঃ আমান উল্লাহ ও নূরে আলম শহীদসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন।
তবে গত ১২ জুলাই সন্ধ্যায় ওই কিশোরী অপহরণ হলেও গত তিনদিনে তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলায় ওই অপহৃতার পিতা অভিযোগ করে বলেন, সুমন রানা তাদের নিকটাত্মীয় ও পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। গত ১২ জুলাই সন্ধ্যায় কসবা পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে সুমন রানা সহযোগীদের নিয়ে তার মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এর আগে সুমন তার কন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হননি। যে কারণে সুমন তার কন্যাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তিনি তাঁর মেয়েকে বিয়ে পড়ানোসহ ধর্ষণের আশঙ্কা করছেন।
তবে অভিযুক্ত সুমন রানার পিতা আজিজুল হক এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘ওই মেয়েই আমার ছেলেকে নিয়ে চলে গেছে। এখন আমিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ লোকমান হোসেন অপহরনের ঘটনায় গত ১৩ জুলাই থানায় মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অপহরণের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধারসহ মামলায় অভিযুক্তদেরকে গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেন রিমন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা সুমন রানার বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে।