বিশেষ প্রতিনিধি:
বছরের পর বছর ধরে চলছে হাইকোর্ট কর্তৃক নিষিদ্ধ হ্যান্ডড্রেজার বসিয়ে ফসলি জমি খনন। জমির গভীর তলদেশে পাইপ বসিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে বালি। প্রতিদিন ৪টি ড্রেজার বসিয়ে ৩ থেকে ৪ হাজার ফুট বালু উত্তোলণ করে মাসে কয়েক কোটি টাকার বালু বিক্রী করছে একটি মহল।
এতে প্রায় ৬ হেক্টর ফসলি জমি বিনষ্ট হয়েছে। হরহামেশাই বালু তোলায় আশে পাশে জমির মাটি ধ্বসে পড়ছে। হুমকীর মুখে পড়েছে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক। জমির পাশে অবস্থিত ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক খুটিও যে কোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে। গত ৫ বছর ধরে অবিরাম চলছে ড্রেজার দিয়ে জমির নীচ থেকে বালু উত্তোলন।
জেলার কসবার তিনলাখ পীর এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশেই চলছে ভয়াবহ এ ড্রেজিং কাজ। প্রভাবশালী একটি মহল জমির মধ্যে পাইপ বসিয়ে বালি উঠাচ্ছে। এতে ফসলি জমি তো বটেই আশপাশের বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। একটি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতাকর্মীর ছত্রছায়ায় রাস্তার পূর্বপাশে সরকারি খাস জমি ও ব্যক্তি মালিকানার ২৫ বিঘা ফসলি জমির নীচ থেকে অর্ধশত ফুট গভীর করে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের বালি নেয়া হচ্ছে।
ক্ষতগ্রিস্থ জমির মালিক বাচ্চু মিয়া জানান, তার ১৫ শতক জমি, সাদ্দাম হোসেনের ১২০ শতক জমি, বাছির মিয়ার ৩০০ শতক, বাবুলের ৬০ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে বালি তোলা হচ্ছে। এদিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছে। পরে মানববন্ধন করে। এ সময় সংক্ষিপ্ত এক সভায় ফসলি জমি থেকে বালি উত্তোলণ বন্ধ করে জমি রক্ষার দাবি জানানো হয়।
এ ব্যাপারে কসবা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে ভুক্তভোগীরা প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে কিন্তুু কাজ হয়নি। শীঘ্রই আমরা কঠিন ব্যবস্থা গ্রহন করব।