স্টাফ রিপোর্টার
জায়গা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আপন চাচা ও চাচাত ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা অষ্টগ্রাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অষ্টগ্রাম গ্রামের আব্দুল মালেক মিয়ার দুই ছেলের মধ্যে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জায়গা নিয়ে দন্দ্ব চলে আসছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুল মালেকের তৃতীয় ছেলে ফজলু মিয়া এবং ফজলু মিয়ার ছেলে দেলোয়ার মিয়ার
নামে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা দিয়েছেন সামসু মিয়া খন্দকারের ছেলে সেলিম খন্দকার।
গত ৪ মার্চ তিনি বাদি হয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিভাগকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ বানোয়াটভাবে অষ্টগ্রাম মৌজার ৬১৭০ দাগের ১৭ শতক জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ আনার পাশাপাশি মার্কেটের এজেন্ট ব্যাংকের শাখা অফিস ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে ভয়ভীতি দেখানো এবং মার্কেটের শাটার ও দেওয়াল ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়।
তবে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে মামলায় উল্লেখ করা ঘটনার কোন আলামত পাওয়া যায়নি।
বাদীর চাচাত ভাই মামলার প্রধান আসামি করা দোলোয়ার জানান, মামলায় আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মনগড়া। কোন ঘটনা যেমন ঘটেনি, তাছাড়া চাকুরিরত কারণে জেলার বাইরে অবস্থান করছিলাম। গ্রামের কয়েকজন মাতবরের প্ররোচনায় আমার স্বজনরা এ মামলাটি সাজিয়েছেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বললেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয়ারা জানান, এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি, তাদের দুই ভাইয়ের জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই জায়গাকে কেন্দ্র করে এক ভাই আরেক ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে এগুলো
সঠিক নয়। সাবেক দাগ ২৮৭৮ এর মোট ৫৪ শতক এবং বর্তমান ৬১৭০ ও ৬১৭১ দাগের ১৭ শতক পরিমান জায়গার মধ্যে কোনো ঝামেলা নেই। তবে অন্য দাগ নম্বরের জায়গায় ঝামেলা থাকলেও মামলায় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়।
এদিকে মামলার বিষয়ে বাদী মোহাম্মদ সেলিম খন্দকার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এই নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি মামলার বিষয়টি তদন্ত করেছি। এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবো।