স্টাফ রিপোটারঃ টানা ১১ মাস জেল খেটেছেন তিন সন্তানের জনক বোরহান উদ্দিন (২৮)। পেশায় কখনো মাদ্রাসার শিক্ষক আবার কখনো মসজিদের ইমাম পেশায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে চাকরি করেন। যেখানে চাকরি করেছেন সেখানেই অভিযুক্ত হয়েছেন অপহরণ ও ধর্ষনের। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
সম্প্রতি এক স্কুলছাত্রী (১৫) কে অপহরণ করে নিয়ে যায় বোরহান উদ্দিন। কিন্তু রেহাই পেলেন না। শুক্রবার (১৭ ফেব্রæয়ারী) র্যাব-৯ সিপিসি-১ এর সদস্যরা হবিগঞ্জ জেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে এবং অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিন জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে।
র্যাব-৯ সিপিসি-১ এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, গত ৬ ফেব্রæয়ারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলী থেকে এক স্কুলছাত্রীকে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে অপহরণ করে নিয়ে যায় বোরহান উদ্দিন। এই ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তার পরিবার থেকে র্যাবের কাছে বিষয়টি জানান হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান শুরু করে র্যাব। অবশেষে ঘটনার ১০দিন পর র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারী বোরহান উদ্দিন ও ভিকটিম স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, বোরহান উদ্দিনের বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক। সে একজন লেবাসদারি ইমাম। তার বিরুদ্ধে এর আগেও ১০ বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ধর্ষণ-অপহরণের অভিযোগে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ করে সে সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে আবারও অপকর্ম শুরু করেছে।
তিনি জানান, সদর উপজেলার আহরন্দে একটি স্কুলে সম্প্রতি অপহরণ করা স্কুল ছাত্রী পড়াশোনা করেন। একসময় ওই এলাকায় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন বোরহান উদ্দিন। সে সময় থেকে নানান ভাবে ওই স্কুল ছাত্রীকে ফুসলানোর চেষ্টা করে আসছিল। এরই জেরে ওই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে বোরহান উদ্দিন। এই ঘটনায় থানায় অপহরণকারীযে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।