স্টাফ রিপোর্টার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কাজীপাড়া ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র সাংবাদিক মীর মোঃ শাহীন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। সোমবার দুপুরে পৌরসভায় যাওয়ার পথে শহরের কাজী পাড়া কাজী মাহমুদ শাহ মাজারের সামনে সাবেক কাউন্সিলর শরীফ ভান্ডারীর নেতৃত্বে পৌরসভার পুকুরের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হামলা চালানো হয়।
এ সময় আহত শাহীনকে রক্ষা করতে গেলে তার শ্যালক রনি, ভাগিনা শরীফ ও ভাতিজা সাকিবও হামলাকারীদের মারধরের শিকার হয়ে আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
আহত কাউন্সিলর মীর মোঃ শাহীন জানান, শহরের কাজী পাড়া কাজী মাহমুদ শাহ মাজারের পাশে একটি পৌরসভার পুকুর রয়েছে। সম্প্রতি পৌর কর্তৃপক্ষ পুকুরটি রক্ষায় মাপঝোঁপ করে এর সঠিক সীমানা নির্ধারণ করে দেয় এবং দেখভালের জন্য আমাকে দায়িত্ব প্রদান করেন। এ বিষয়টিকে ঘিরে শরীফ ভান্ডারী আমার উপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ ছিল। সোমবার আমি পুকুরের নির্ধারিত সীমানায় খুঁটি গেড়ে দেই।
পরে দুপুরে কাজীপাড়া এলাকায় কিছু সামাজিক কাজ শেষে পৌরসভায় যাওয়ার সময় কাজী মাহমুদ শাহ মাজারের সামনে সাবেক কাউন্সিলর শরীফ ভান্ডারীর নেতৃত্বে তার ছেলে শাহ মোঃ শকিল (৩৬), শাহ মোঃ শান্ত (৩০), শাহ মোঃ শাওন (২৭) ও শাহ মোঃ অনিক (২৩) এবং সাজন মিয়ার ছেলে সালমান সাদিক সাঈফসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ফাঁদ পেতে আমার উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা আমাকে বেদম মারধর করে।
পরে খবর পেয়ে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে বাঁচাতে এলে হামলাকারীরা তাদেরকেও মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও চিকিৎসক গুরুতর আহত রনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাওয়ায় পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে কাউন্সিলর মীর শাহীনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এলাজুড়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে একজন জনপ্রতিনিধির উপর হামলা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তারা বিষয়টির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ শরীফ ভান্ডারীসহ তার ৪ ছেলেকে আটক করেছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন চলমান রয়েছে।