স্টাফ রিপোর্টার:
ছলছাতুরি ও তথ্য গোপন করে অনুমোদন নেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকনাথ উদ্যানের (লোকনাথ দীঘির পাড়) “ভোরের সাথী” নামক সংগঠনের (রেজিঃ নং-ব্রাহ্মণ-৫৬৯/২০১৭)’র কার্যকরী কমিটি বাতিল করে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।
এদিকে কমিটি বহাল থাকা অবস্থায় যাচাই-বাছাই ছাড়াই নতুন কমিটির অনুমোদন দেয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের দায়িত্বহীন কান্ড নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
সংগঠনের সদস্যদের অভিযোগ রহস্যজনক কারণে সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে অনৈতিকভাবে এই কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে করে সকলের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে গত ২৫ আগস্ট সংগঠনের সদস্য রাশেদ কবির আখন্দ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত বর্তমান কমিটি বাতিলের জন্য জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বরাবরে লিখিত আবেদন করেন।
আবেদনে রাশেদ কবির আখন্দ বলেন, লোকনাথ উদ্যানের “ভোরের সাথী” নামক সংগঠনের একজন নিয়মিত সদস্য। সংগঠনের সভাপতি মোঃ নাজমুল হক (বর্তমানে প্রয়াত) এর নেতৃত্বে গত ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সংগঠনের সভাপতি মোঃ নাজমুল হোসেন ৫ এপ্রিল ২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর প্রয়াতের ছোট ভাই মোঃ আতিকুল হক আতিক সম্পূর্ন তথ্য গোপন করে ছলছাতুরি করে নিজেকে সংগঠনের সভাপতি করে কমিটি অনুমোদন করান। সম্পূর্ন অনিয়মতান্ত্রিক ও অবৈধভাবে করা কমিটির মেয়াদ দেখানো হয়েছে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমাজ সেবা কোন প্রকার তথ্য যাচাই-বাছাই না করে সাবেক সভাপতি নাজমুল হকের (বর্তমানে প্রয়াত) কমিটির মেয়াদ ছিলো ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেখানে ওই কমিটির মেয়াদ থাকাবস্থায় কিভাবে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আতিকুল হক আতিকের কমিটি অনুমোদন দেয়া হলো। দীর্ঘ ১ বছর মেয়াদ থাকা সত্বেও কিভাবে নতুন কমিটি অনুমোদন দেয়া হলো তা বোধগম্য নয়। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কথিত সভাপতি আতিকুল হক আতিকের কমিটি সম্পূর্ন অবৈধ, বেআইনি ও গঠনতন্ত্রের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন।
কারন মোঃ আতিকুল হক আতিক “ভোরের সাথী” নামক সংগঠনের কোন সদস্য নয়। সংগঠনের প্রাথমিক সদস্যও না হয়ে বড় ভাইয়ের মৃত্যু পর উত্তরাধিকারীভাবে ছোট ভাই সভাপতি হওয়ার কোন বিধান নেই গঠনতন্ত্রে। আবেদনে তিনি বে-আইনি কমিটি বাতিল করে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন কার্যকরী কমিটি গঠন করার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমাজ সেবার উপ-পরিচালক আব্দুল কাইয়ুম কমিটি গঠন প্রক্রিয়াটি ত্রæটি ছিল বলে স্বীকার করে বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।