স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক মামলায় জুয়েল মিয়া-(৩০) নামে এক যুবককে ৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত।
আজ রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদ পারভেজ এই রায় প্রদান করেন। মাত্র ৫৬ দিনে এই মামলার রায় প্রদান করেছে আদালত।
দন্ডপ্রাপ্ত জুয়েল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার উত্তর চকবস্তা গ্রামের মরহুম আবুল বাশারের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জুয়েল অস্ত্র, হত্যা ও মাদক মামলাসহ ১৫টি মামলার আসামী। গ্রেপ্তারী পরোয়ানা থাকায় সে পলাতক ছিলো। চলতি বছরের ১১ জুন তাকে কুমিল্লা জেলার কান্দিরপাড় এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে কসবায় তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ি থেকে দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার এবং ৬০০পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় পরদিন র্যাবের এস.আই আবদুল মান্নান বাদি হয়ে কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরে জেলা গোয়েন্দা শাখায় স্থানান্তরিত করা হয়। এই মামলা দায়েরের মাত্র ১৪ দিনের মাথায় গত ২৬ জুন গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রোববার আদালত মাদকের মামলায় অভিযুক্ত জুয়েলকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, দুই হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।
মামলা দায়েরের মাত্র ৫৬ দিনে সকল প্রক্রিয়া শেষে আদালত দ্রæততম সময়ের মধ্যে এই মামলার রায় প্রদান করে। এই মামলার অস্ত্রের অংশ জজ আদালতে চলমান রয়েছে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, আদালত দ্রæততম সময়ে বিচার কাজ শেষ করে এই রায় দিয়েছেন। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় আদালত সর্বোচ্চ রায় প্রদান করেছে।
অপর দিকে আসামী পক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলায় অনেক ফাঁক-ফোকর রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ অপরাধ প্রমান করতে পারেনি। আমরা এই রায়ে সংক্ষুব্ধ। তাই উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচার পেতে আপিল করবো।